দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ের চকমরিচায় ফরেন্সিক দল। বৃহস্পতিবার যে গ্রামে বিস্ফোরণ হয় বলে অভিযোগ ওঠে, শুক্রবার সেই স্থান ঘুরে দেখে ফরেন্সিক দল। গ্রামে বিশাল পুলিশবাহিনী যেমন রয়েছে, তেমনই মোতায়েন করা হয়েছে র্যাফ। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানও রয়েছে সেখানে। কোথায় এই বিস্ফোরণ ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে এদিন গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় যায় ফরেন্সিক দল। কাঁটাতলা থেকে আটক আইএসএফ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল বাহিনী। প্রায় ঘণ্টাখানেক পার করে তল্লাশি চলছে। গ্রামের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি বিস্ফোরণস্থলের।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়ার চকমরিচা-মাঝেরপাড়ায় বোমাবাজিতে জখম হন চার যুবক। সকলকেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ ওঠে, আইএসএফের ঘাঁটি এই চকমরিচা। গতকাল দুপুরে সেখানেই বোমা বিস্ফোরণ হয়। বোমা বাঁধতে গিয়ে এই বিস্ফোরণ হয় বলে অভিযোগ। এলাকা যেহেতু বিশাল পাটক্ষেত। তার মধ্যে এদিক ওদিক ঘর। ফলে কোথায় এই ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়।
এমনও অভিযোগ ওঠে, বোমা ফেটে জখম হওয়ার পর একটি গাড়িতে চেপে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন চার যুবক। লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ ধরে ফেলে। এরপরই পুলিশি তৎপরতায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনজনের শরীর বীভৎসভাবে ঝলসে গিয়েছে। চতুর্থজনও আহত। তবে এই ঘটনায় আইএসএফ যোগের কথা মানতে নারাজ দল। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, আইএসএফ সন্ত্রাস করে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারবে না।