ক্যানিং: ভাঙড়ে (Bhangar) আইএসএফ (ISF) আর তৃণমূলের (TMC) কোন্দল প্রথম নয়। কখনও দলীয় পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে কটূ কথা, মারধরের খবর হামেশাই উঠে আসে। এবারও আইএসএফ কর্মীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা তথা ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। তাঁর বক্তব্য যদি পুলিশ না থাকত তাহলে আইএসএফ কর্মীদের পিঠের চামড়া থাকত না।
রবিবার ভোগালী দু’নম্বর অঞ্চল তৃণমূলের ডাকে কর্মী সম্মেলন ছিল। সেই কর্মী সম্মেলনে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙরের অবজারভার সওকত মোল্লা সহ ভাঙড়ের এক ঝাঁক তৃণমূল নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন আরাবুল। বলেন, “পুলিশ যদি না থাকত নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙরে ঢুকতে পারতেন না। নওশাদ সিদ্দিকির কর্মীদের পিঠের চামড়া থাকত না।”
এর পাশাপাশি তৃণমূল নেতা মনে করিয়ে বললেন, “সরকার পক্ষের লোকেরা বেশি সুযোগ পায় না। তাদের লড়াই করতে হয়। বেশি সুযোগ পায় বিরোধী দলের লোকেরা। আমি যখন বিরোধী দলে ছিলাম তখন পুলিশ আমায় পাহাড়া দিয়ে নিয়ে যেত। মিটিং করার সুযোগ করে দিত। তাই বলছি পুলিশ যদি না থাকত নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙরে ঢুকতে পারতেন না। নওশাদ সিদ্দিকির কর্মীদের পিঠের চামড়া থাকত না।”
সম্প্রতি, ভাঙড় বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে চাপানোতর তৈরি হয়। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল,সেই তৃণমূল কর্মী সরিফুল মোল্লার বাড়ির পক্ষ থেকেও আইএসএফের বিরুদ্ধে কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে,এই ঘটনায় আহত মহিলা রোশনা বিবিকে আইএসএফের তরফ থেকে দল করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু রোশনা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তিনি তৃণমূল ছাড়তে চাননি। তার রেশই এই ঘটনা বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল।আইএসএফের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছিল, তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা মজুত করা হয়েছিল। সেই বোমা ফেটেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার সময়ও তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, “যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে না হলে আগামীদিনে থানা ঘেরাও করা হবে।” এরপর আজ ফের হুমকির সুর শোনা গেল আরাবুলের গলায়।