
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ক্যানিং পুলিশ কোর্য়াটারের ঘর থেকে উদ্ধার ২২ বছরের গুলজ়ান পারভিন মোল্লা ওরফে রেশমির ঝুলন্ত দেহ। ওই থানায় হোমগার্ড হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। বছর দু’য়েক আগে ভাঙড়ে গিয়ে খুন হন রেশমির বাবা রশিদ মোল্লা। তারপর বাবার চাকরি দেওয়া হয় বড় মেয়েকে। এবার সেই মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। যা ঘিরে রবিবার দিনভর চাঞ্চল্য বজায় থাকল এলাকায়। কাঠগড়ায় উঠল থানার সাব-ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টচার্য। পরিবারের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল রেশমির। যা জানাজানি হতেই ‘খুন’ করা হয়েছে তাঁকে। এরপরেই ‘খুনের মামলা’ রুজু তদন্তে নামল বারুইপুর জেলা পুলিশ।
ইতিমধ্য়েই বারুইপুর পুলিশের জেলা অধিকর্তার নির্দেশে সাসপেন্ড করা হয়েছে ক্য়ানিং থানার সাব-ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যকে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হন্যি হয়ে খুঁজছে তাঁকে। কিন্তু তাঁর কোনও হদিশ নেই। পুলিশের অনুমান, রেশমির ‘রহস্যমৃত্যুর’ খবর ছড়িয়ে পড়তেই পলাতক হয়েছেন সায়ন। এই পরিস্থিতিতে তদন্তে গতি আনতে ছয় সদস্যের একটি সিট গঠন করল পুলিশ। এই বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান করা হয়েছে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্তকে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ডিউটির পর ক্য়ানিং থানার পিছনের দিকে থাকা একটি কোর্য়াটারে গিয়েছিলেন রেশমি। তারপর থেকেই আর পাত্তা নেই তাঁর। বাড়ির লোক বারংবার ফোন করলেও, কোনও উত্তর মেলে না। রেশমি ফোন তোলে না। শনিবার গোটাদিন একই ভাবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয় না। ফলত একটা উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। এর মধ্য়েই রবিবার তাঁরা চলে আসে ক্যানিং থানায়। বোন রুকসানা খাতুন সোজা চলে যান কোর্য়াটারের দিকে। তারপর দরজা খুলতেই হতবাক। সিলিং থেকে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় ঝুলছে রেশমির দেহ। যা দেখে চিৎকার শুরু করেন রুকসানা। ছুটে আসেন কর্তব্য়রত পুলিশ কর্মীরা।