AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sundarban: বাঁধে ফাটল, জোয়ারের জল ঢুকছিল হু-হু করে, সব হারানোর ভয়ে কাঁটা সুন্দরবনবাসী

এদিকে, বুধবার রাতেও জোয়ারের সময় নদীর জল ঢুকে পড়েছে গ্রামে। তবে  বৃহস্পতিবার সকালে নদীতে ভাঁটা শুরু হওয়ায় নদীর জল নামতে শুরু করেছে। সেই সুযোগেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সেচ দফতরের কর্মীরা জোর কদমে একাধিক JCB নামিয়েছেন।

Sundarban: বাঁধে ফাটল, জোয়ারের জল ঢুকছিল হু-হু করে, সব হারানোর ভয়ে কাঁটা সুন্দরবনবাসী
গোসাবায় ঢুকছে জলImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2025 | 2:46 PM
Share

গোসাবা: আতঙ্ক ছিল। ঠিক তেমনটাই হল। আবারও নদীর জলে ভেসে গেল বাড়িঘর। বাঁধ ভেঙে গোসাবা ব্লকের অন্তর্গত আমতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের পুঁইজালি গ্রামেতে বুধবার সকালে ঢুকে গিয়েছে বন্যার জল। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। এ দিকে, আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গে উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে বলেছে হাওয়া অফিস। ফলে, যদি বৃষ্টি হয় তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা এখন থেকেই আশঙ্কা করতে পারছেন এলাকাবাসী।

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গোসবায় এ দিন আচমকায় পূর্ণিমার কোটালের জেরে রায়মঙ্গল নদীর প্রায় ২০০ ফুট মাটির নদী বাঁধ ভেঙে সরাসরি নদীর নোনা জল ঢুকে পড়ে চাষের জমিতে। শুধু তাই নয়,যে যে পুকুরে মাছ চাষ করা হয় সেই সব পুকুরেও নদীর জল ঢুকে পড়ে।  জল একেবারে গৃহস্থের দরজায় এসেও পৌঁছেছে। প্রায় ২৫০ বেশি বাড়ির দুর্গত মানুষ বাড়ির বাইরে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে, বুধবার রাতেও জোয়ারের সময় নদীর জল ঢুকে পড়েছে গ্রামে। তবে  বৃহস্পতিবার সকালে নদীতে ভাঁটা শুরু হওয়ায় নদীর জল নামতে শুরু করেছে। সেই সুযোগেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সেচ দফতরের কর্মীরা জোর কদমে একাধিক JCB নামিয়েছেন। বিকল্প ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি রিং বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। যাতে আর কোনও ভাবেই রায়মঙ্গল নদীর জল ওই গ্রামে ঢুকতে না পারে। এক গ্রামবাসী বলেন, “গতকাল জলে সব ভেসে গেছে। আমাদের মাছ চাষের পুকুর আছে। সেই পুকুরেও নদীর জল ঢুকে গিয়েছে। আমরা আতঙ্কে ছিলাম, আরও বৃষ্টি হলে যদি নদীর বাঁধ ভেঙে যায় তাহলে আমরা কী করব? কোথায় যাব?” আরও এক গ্রামবাসী বলেন, “জল ঢুকে গেছে বাড়িতে। অবস্থা খুবই শোচনীয়। আমরা গবাদি পশু সমেত আশ্রয় নিয়েছি উঁচু জায়গায়। ঘর মেরামতি শুরু হয়েছে।”