Dengue: ডেঙ্গির মারণ ছোবল রাজপুর-সোনারপুরে! একই পরিবারে পরপর দু’জনের মৃত্যুতে প্রশ্নের মুখে পুরসভার ভূমিকা

Sonarpur: চলতি মাসের ৬ তারিখে রেনিয়া ক্ষুদিরাম সরণীর বাসিন্দা বাসিন্দা বিপ্লব সর্দারের মৃত্যু হয় ডেঙ্গির কামড়ে। এবার সপ্তাহ দু’য়েক যেতে না যেতেই একই ছবি। ফের শোকের ছায়া পরিবারে। ডেঙ্গি সংক্রমণের এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই পরিবারেরই সদস্য বন্দনা সরকার।

Dengue: ডেঙ্গির মারণ ছোবল রাজপুর-সোনারপুরে! একই পরিবারে পরপর দু’জনের মৃত্যুতে প্রশ্নের মুখে পুরসভার ভূমিকা
উদ্বেগ বাড়ছে এলাকায় Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 26, 2025 | 9:37 AM

সোনারপুুর: বর্ষা বিদায় নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ হল। কমেছে বৃষ্টির দাপট। শীতের এখনও বেশ কিছুটা দেরি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অন্তত তেমনটাই বলছে। যদিও আগামী সপ্তাহেই ফের বেশ কিছু জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। এরইমধ্যে এবার ডেঙ্গির হানা রাজপুর-সোনারপুরে। মৃত্যু একই পরিবারের দু’জনের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যেমন উদ্বেগ বাড়ছে তেমনই কপালে চিন্তার ভাঁজ চাওড়া হয়েছে প্রশাসনেরও। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না হওয়ায় পুরসভার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা। 

চলতি মাসের ৬ তারিখে রেনিয়া ক্ষুদিরাম সরণীর বাসিন্দা বাসিন্দা বিপ্লব সর্দারের মৃত্যু হয় ডেঙ্গির কামড়ে। এবার সপ্তাহ দু’য়েক যেতে না যেতেই একই ছবি। ফের শোকের ছায়া পরিবারে। ডেঙ্গি সংক্রমণের এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই পরিবারেরই সদস্য বন্দনা সরকার। এবার তাঁরও মৃত্যু হল। মৃতার স্বামী বলছেন, “আমার দাদা, আমার স্ত্রী চলে গেল। দু’জনেই ডেঙ্গির কারণে মৃত্যু। আমারও হয়েছিল, আমার ছোট মেয়েরেও হয়েছিল। ছোট মেয়েটা তো এখনও অসুস্থ।”  

এ ঘটনা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হতেই ডেঙ্গি দমনে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। পরপর দুই মৃত্যুতে ক্রমেই বেড়েছে ক্ষোভ। ক্ষোভের সুরেই এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, “এখানে তো কাঁচা ড্রেন। ভয় তো লাগছেই। এই এলাকায় থাকতেই তো ভয় লাগছে। কিন্তু যাব আর কোথায়।” আর এক বাসিন্দা বলছেন, “প্রচুর মশা রয়েছে। বসতেই পারি না। প্রশাসনের লোকজন কোনও কাজ করছে না।” 

রবিবার এলাকায় আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর দেবব্রত মণ্ডল। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় এলাকার বাসিন্দাদের। যদিও পুরসভার অব্যবস্থার কথা মানতে নারাজ তিনি। তাঁর দাবি, “পুরসভার ড্রেনে কোথাও জল জমে নেই। ঘিঞ্জি এলাকায় মাটির বেড়া দেওয়া সেপটিক ট্যাঙ্কের জল উপচে পড়ায় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।” উল্টে তিনি সাধারণ মানুষের সচেতনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।