বাসন্তী: ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাসন্তীর পাঁচ জনের। তাঁদের মধ্যে একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিন ভাই হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন, দিবাকর গায়েনের মৃত্যু হয়েছে ট্রেন দুর্ঘটনায়। তাঁরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। অন্ধ্রপ্রদেশে ধান রোয়ার কাজে যাচ্ছিলেন। এর আগেও একাধিকবার গিয়েছিলেন। কিন্তু এবার কাজে যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনা। তাঁরা ছাড়াও এই বাসন্তীর ছরানেখালি গ্রামের আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের নাম বিকাশ হালদার, সঞ্জয় হালদার। সকাল নয়টায় বাড়ি থেকে বের হয়। এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বাসন্তী ও গোসাবা এলাকার আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৬১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে ১৮৯ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ৭২ জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, উদ্ধারকার্য প্রায় শেষের পথে। অর্থাৎ বগির নীচ থেকে দেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। কম্পার্টমেন্টগুলোকে এবার ক্রেনের মাধ্যমে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে উঠে আসছে একাধিক তথ্য। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চাকার ব্যবহার। রেলের ইঞ্জিনিয়াররা দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক্সপ্রেসের চাকা পরিদর্শন করে যান। চাকা কী ব্যবহারের অনুপযুক্ত ছিল? প্রশ্ন উঠছে।