সোনারপুর: জামালকে গ্রেফতার করতেই বেশ বেগ পেতে হয়েছিল পুলিশকে। একটি সালিশিসভা বসিয়ে হেনস্থা করা থেকে শুরু করে এলাকায় তোলাবাজি, একগুচ্ছ অভিযোগ সামনে আসে জামালের বিরুদ্ধে। সেই জামালের বাড়ি গেলে দেখা যায়, বাঁধানো পুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে কচ্ছপ, ঘোড়াশালে ঘোড়া। আইন না মেনে কীভাবে জামাল কচ্ছপ পুষছেন, সেই প্রশ্ন ওঠে। এবার সেই জামালের বাড়িতে কচ্ছপ খুঁজতে গিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হল বন দফতরের কর্মীদের।
অভিযোগ সামনে আসার পরই জামালের কচ্ছপ পোষার বিষয়টি নজরে আসে। দেখা যায়, জলের মধ্যে মাথা তুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মাঝারি আকারের কচ্ছপ। যেহেতু কচ্ছপ এভাবে বাড়িতে পোষা বেআইনি, তাই আগেই বন দফতর জামালের বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় বৈধ অনুমতি না থাকায় ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি তারা।
পরে পুলিশ জামালের বাড়িতে ঢুকছে দেখে টনক নড়ে বন দফতরের। বৃহস্পতিবার ফের সেখানে যান আধিকারিকরা। কিন্তু পুলে গিয়ে দেখেন একী! কচ্ছপ কই! জলাশয় তো ফাঁকা! ফলে কচ্ছপ উদ্ধারে গিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হল পুলিশ ও বন দফতরকে।
ঘিরে রাখা জামালের বাড়িতে কি অতর্কিতে প্রবেশ করছে কেউ? কচ্ছপ তো আর পালিয়ে যাবে না! কচ্ছপগুলিকে লুকিয়ে রাখছে কারা? এই প্রশ্নই সামনে আসছে।
গত ১৯ জুলাই সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারকে গ্রেফতার করা হয়। জামালের সাগরেদ হিসাবে পরিচিত আরব, আলম, কুরবান ও সিরাজুলকে প্রথমে আটক করে সোনারপুর থানার পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই পাওয়া যায় জামালের খোঁজ। হেনস্থা এবং তোলাবাজির একাধিক অভিযোগ ওঠে জামালের বিরুদ্ধে। টাকা দেওয়ার পরেও শিকল দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তোলেন এক মহিলা।