
বারাসত: তুলসী মালা পরে স্কুলে আসা যাবে না। নবপল্লী যোগেন্দ্রনাথ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার এই নির্দেশিকা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বারাসতে। শোরগোল চলছিল শিক্ষা মহলের অন্দরে। চাপানউতোর শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলেও। প্রধান শিক্ষিকার ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে জোরাল সওয়াল করেছিলেন স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি। শেষ পর্যন্ত বিতর্কের মুখে পড়ে সাংবাদিকদের ডেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা করলেন প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রানী দত্ত চক্রবর্তী।
প্রধান শিক্ষিকার দাবি, তিনি যা বলেছিলেন তার অপব্যখ্যা হয়েছে। কিন্তু, বিষয়টা যে এই পর্যায়ে যাবে তা তিনি বুঝতে পারেননি। তিনি বলেন, “আমি যে ভাবনা থেকে কথাটা বলেছিলাম তার একটা অপব্যাখ্যা মনে হয় হচ্ছে। আমি আগেও বলেছিলাম আমি ঠাকুর ভক্ত। তুলসী মালা পরে আসবে না, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আমি জারি করতে পারি না, করিওনি। কিন্তু তুলসীর অপমান যাতে না হয় তা ভেবেই বাচ্চাদের আমি স্কুল ইউনিফর্মে পরতে বারণ করেছিলাম। কিন্তু সেটা যে এই রূপ নেবে তার জন্য আমি দুঃখিত।” এখানেই না থেমে তিনি বলেন, “আমি আবারও বলছি আমি নিজে কৃষ্ণভক্ত। আমি নিজে বহু তুলসী গাছ স্কুলে লাগিয়েছি। আমি জগন্নাথের সেবাইত। কিন্তু যদি আমার কোনও কথায় কোনও মানুষ আঘাত পেয়ে থাকেন তার জন্য আমি দুঃখিত।”
স্কুলের পডুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরা প্রত্যেকেই এই নতুন সিদ্ধান্তে খুশি। যদিও স্কুলের তুলসী মালা না পড়ে আসার ফতেহা জারি শুনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের তরফে এদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিক্ষোভও দেখানো হয়।