পাথরপ্রতিমা: রাতের অন্ধকারে মশারি টাঙিয়ে শুয়েছিলেন গৃহবধূ। ঠিক সেই সময় চুপি চুপি ঘরে ঢোকে যুবক। গৃহবধূ চিৎকার করলে মাশারির উপর থেকেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তাঁর উপর। এরপর মহিলার চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তবে ততক্ষণে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুরনো রাগ মেটাতে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এক গৃহবধূকে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বছর তিরিশের পার্বতী রাজ। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমার মেহেরপুর এলাকায়। জখম বধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। দুষ্কৃতকারী যুবকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দীর্ঘদিন আগে থেকে ওই যুবকের সঙ্গে পুরনো শত্রুতা ছিল বধূর স্বামী অনুপ রাজের। অনুপ পেশায় গাড়ির চালক। কাজের সূত্রে তিনি কলকাতায় থাকেন। বাড়িতে বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে থাকতেন স্ত্রী পার্বতী। গতকাল নাতনির অসুস্থতার খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা শাশুড়ি। বাড়িতে একাই ছিলেন বধূ। অভিযোগ, বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আনুমানিক রাত ১টা নাগাদ কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা দিয়ে ওই যুবক বাড়ির ভেতরে ঢোকে। আচমকা যুবককে দেখে বধূ চিৎকার করলে ওই যুবকের হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে মশারির উপর দিয়ে মহিলাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে।
মহিলা চিৎকারে আশেপাশের লোকজন বেরিয়ে এলে বেগতিক বুঝে ওই যুবক চম্পট দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঢোলাহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় বধূকে উদ্ধার করে ভোররাতে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।