Nawsad Siddiqui: ‘তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে ঘোরো’, ISF কর্মীদের হঠাৎ কেন এই পরামর্শ নওশাদের?
ISF: নওশাদের দাবি, শাসকদল প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের ছেলেদের নানাভাবে বিরক্ত করছে। তাঁর সংযোজন, "আমাদের কর্মী সমর্থকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই আমরা বলছি, বেশি হইহই নয়। মিটিং মিছিলে যাওয়া, ঝান্ডা ধরার দরকার নেই। প্রয়োজনে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে ঘোরো। কোনও সমস্যা নেই। তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে যাও। স্লোগানটা একটু আসতে দেবে আর ভোটটা আইএসএফের পক্ষে দেবে।"

ডায়মন্ড হারবার: আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী ইতিমধ্যেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ডায়মন্ড হারবার থেকে লোকসভা ভোটে লড়তে চান। ডায়মন্ড হারবারের দু’বারের সাংসদ অভিষেক। নওশাদ বলেছেন, সেই অভিষেককে হারানোই তাঁর চ্যালেঞ্জ। যদিও তৃণমূল এসব কথাকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ। তবে এসবের মধ্যে আজ রবিবার ডায়মন্ড হারবারে লোকসভা ভোটের আগে প্রথম জনসভা করলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ। বললেন, “হয়ত আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভোটের নোটিফিকেশন জারি হয়ে যাবে। সে অর্থে বলা যেতেই পারে এটা আমার প্রস্তুতিসভা।”
নওশাদ বলেন, লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্র নিয়ে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ইভিএমের সামনে শুধু ভোটারকেই রাখা যাবে, আর কারও প্রবেশ থাকবে না। মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারলে জয় নিশ্চিত বলে দাবি নওশাদের। কিন্তু আইএসএফ এরকম একটা হেভিওয়েট কেন্দ্রে লড়তে কোন কৌশলে এগোবে? নওশাদের কথায়, এবার গোটা রাজ্যেই তাঁদের শক্তি ‘সাইলেন্ট ভোটার’। নওশাদের কথায়, “মিটিং মিছিলে আমাদের বেশি লোকের দরকার নেই। ঘরে বসে থাকুক, সংবাদমাধ্যমের হাত ধরেই জেনে যাবেন আমাদের লক্ষ্য কী। ভোটের দিন এলে ভোট দিয়ে বাড়ি চলে যাবেন। এবার আমাদের সাইলেন্ট ভোটার বেশি পাবেন।”
নওশাদের দাবি, শাসকদল প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের ছেলেদের নানাভাবে বিরক্ত করছে। তাঁর সংযোজন, “আমাদের কর্মী সমর্থকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই আমরা বলছি, বেশি হইহই নয়। মিটিং মিছিলে যাওয়া, ঝান্ডা ধরার দরকার নেই। প্রয়োজনে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে ঘোরো। কোনও সমস্যা নেই। তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে যাও। স্লোগানটা একটু আসতে দেবে আর ভোটটা আইএসএফের পক্ষে দেবে।”





