
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্কুলে স্পোর্টস চলছিল। সকাল থেকেই বাকিদের সঙ্গে মজা করছিল নবম শ্রেণির অর্কদীপ। সকালে স্কুলের একাধিক কাজও করেছিল। এরপর স্পোর্টসের দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। হুইসেল বাজালে দৌড়ানোও শুরু করে। কিন্তু মাঝপথেই লুটিয়ে পড়ে। মর্মান্তিক ঘটনা কামালগাজির একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে।
নবম শ্রেণির ছাত্র অর্কদীপ বাগ। রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা বছর পনেরোর অর্কদীপ পড়ত কামালগাজি এলাকার বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া। সহপাঠীদের সঙ্গে দৌড় শুরু করেছিল সেও। কিন্তু মাঝ পথেই আচমকা পড়ে যায় মাটিতে। শিক্ষক ও স্কুলকর্মীরা তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা অর্কদীপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হঠাৎ এমন মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সহপাঠী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলেই। খবর পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে অর্কদীপের পরিবার। সুস্থ-স্বাভাবিক এক পড়ুয়ার এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউই। স্কুল কর্তৃপক্ষ কীভাবে পুরো ঘটনা ঘটল সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি এখনও।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অর্কদীপের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল কি না, কিংবা অন্য কোনও কারণ আছে কি না, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজও হাতে এসেছে পুলিশের। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার পড়ুয়ার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “দৌড়াতে গিয়ে পড়ে যায়। আমরা সবাই ছুটে যাই। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম, হয়তো মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছে। কিন্তু গিয়ে দেখি অচৈতন্য হয়ে পড়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর দ্রুত ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আর রক্ষা করতে পারলাম না।” কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শিক্ষকরাও। কেউ বুঝতেই পারছেন না, কী থেকে কী হল! অর্কদীপের আগে থেকেই কোনও অসুখ ছিল কিনা, সেটা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন চিকিৎসকরা।