Manoj Verma CP of Kolkata: মায়ের কথা বলে স্মৃতিমেদুর ‘দবাং’ কমিশনার মনোজ ভর্মা

Manoj Kumar Verma, IPS: সিপির মুখে শোনা যায়, তাঁরই গ্রামের কথা, সেখানকার জীবনযাপন, মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। এক কথায়, পুজো উদ্বোধনের গিয়ে স্মৃতির মায়াজালে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তুলে ধরেন ব্যক্তিগত জীবনের একটা লহমা মাত্র।

Manoj Verma CP of Kolkata: মায়ের কথা বলে স্মৃতিমেদুর দবাং কমিশনার মনোজ ভর্মা
সিপি মনোজ কুমার ভর্মাImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Sep 28, 2025 | 1:05 PM

ভাঙড়: পুজো উদ্বোধনে গিয়ে স্মৃতিমেদুর কলকাতার নগরপাল মনোজ ভর্মা। কথায়-কথায় ফিরে গেলেন নিজের গ্রামে। বললেন তাঁর মায়ের কথা। রবিবার ভাঙড়ের কালিকাপুর সর্বজনীন ক্লাবের দুর্গাপুজো উদ্বোধনে গিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভর্মা। সিপির আগমন ঘিরে সেজে ওঠে গোটা এলাকা। সিপিকে সম্বর্ধনা জানিয়ে তাঁর হাতে পুষ্প স্তবক তুলে দেয় পুজো কমিটি। তুলে দেওয়া হয় একটি দুর্গা প্রতিমাও।

এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই ‘দবাং’ মনোজ ভর্মা হয়ে পড়েন স্মৃতিমেদুর। সিপির মুখে শোনা যায়, তাঁরই গ্রামের কথা, সেখানকার জীবনযাপন, মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। এক কথায়, পুজো উদ্বোধনের গিয়ে স্মৃতির মায়াজালে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তুলে ধরেন ব্যক্তিগত জীবনের একটা লহমা মাত্র।

এদিন তিনি বলেন, ‘সবাইকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানাই। আজ এই গ্রামে একটি পুজো উদ্বোধনে এসেছিলাম। অনেকে মনে করেন, আমরা শহরের মানুষ। আমাদের আধুনিক জীবনযাপন। কিন্তু আমি বলে রাখি, আমার শিকড় সেটা এখনও গ্রামের সঙ্গেই যুক্ত। আমার মা এখনও গ্রামেই থাকেন।’

বলে রাখা প্রয়োজন, জওয়ান-পুত্র মনোজ কুমার ভর্মা একেবারে রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ। এদিন পুজো উদ্বোধন করতে এসেও সেই প্রসঙ্গটাই তুলে ধরেন তিনি। নগরপাল বলেন, ‘এখানে এসে নিজের গ্রামের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তাও এখানে পাকা বাড়ি, আলো, বিদ্যুৎ, জল সবই রয়েছে। রাজস্থানের যে গ্রামে আমাদের বাড়ি সেটা মূল রাস্তা থেকে ৮ কিলোমিটার ভিতরে। সেখানে না ছিল জল, না ছিল বিদ্যুৎ। তেষ্টা মেটাতে একমাত্র ভরসা নদী। ওই গ্রামে আমার মা এখনও রয়েছেন। নিজের মতোই চাষবাস করেন।’

গতবছরই ভাঙড়ের চারটি থানাকে কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন কলকাতা পুলিশের কমিশনার নিযুক্ত ছিলেন বিনীত গোয়েল। তবে কলকাতা পুলিশের আওতায় এলেও, এখনও ওই এলাকায় তিনটি থানা তৈরির কাজ বাকি রয়েছে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই সেই প্রশ্নই ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল মনোজ ভর্মাকে। তিনি বলেন, ‘একটা থানা প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে। বাকি তিনটে থানার জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেও খুব শীঘ্রই নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে।’ থানার পাশাপাশি ভাঙড়়ে ব্যাটালিয়ন তৈরির জন্য জমি চিহ্নিতকরণের কাজ হয়ে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন সিপি।