South 24 pargana: নিম্নাঙ্গে নেই পোশাক, অন্ধকার ঘরেই কি না শেষমেশ… খালি বাড়িতে মেয়ের অবস্থায় স্তম্ভিত বাবা

South 24 pargana: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের দক্ষিণ হারাধানপুরের ঘটনা। সেখানেই সোমবার রাত্রিবেলা দশম শ্রেণির এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

South 24 pargana: নিম্নাঙ্গে নেই পোশাক, অন্ধকার ঘরেই কি না শেষমেশ... খালি বাড়িতে মেয়ের অবস্থায় স্তম্ভিত বাবা
এই বাড়িতেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2022 | 3:58 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গোটা পাড়া অন্ধকার। বিদ্যুৎ ছিল না। খালি বাড়িতেই নাবালিকাকে এই অবস্থায় দেখবেন হয়ত কেউ ভাবেননি। মাতৃহারা মেয়েটির সঙ্গেই ঘটল অনর্থ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের দক্ষিণ হারাধানপুরের ঘটনা। সেখানেই সোমবার রাত্রিবেলা দশম শ্রেণির এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মায়ের মৃত্যুর পর বাবা ও মেয়ে থাকতেন বাড়িতে।   প্রতিদিনের মতো গতকাল বিকেলে টিউশান পড়তে গিয়েছিল বছর পনেরোর ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি ফেরে আসে সে। পরিবার সূত্রে খবর, সেই সময় ছাত্রীর বাবাও বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর বাবা স্থানীয় বাজারে চা খেতে গিয়েছিলেন। রাত ৯টা নাগাদ বাবা বাড়ি ফিরে এসে মেয়ের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে ফোন করতে থাকেন। দরজায় একাধিকবার কড়া নাড়লেও কোনও উত্তর মেলায় সন্দেহ হয় তাঁর।

এরপর বাড়ির বাইরে থেকে বন্ধ করে রাখা দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন তিনি। ঘরের মধ্যে ঢুকতেই আঁতকে ওঠেন। ওড়নার সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পান। মৃতের বাবার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ছাত্রীর। পরিবারের দাবি, নাবালিকাকে মেঝেতে হাঁটুমোড়া অবস্থায় পাওয়া যায়। নিম্নাঙ্গে কোনও পোশাক ছিল না তাঁর। এ দিকে, সন্ধে থেকে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। ফলত পুরো ঘটনায় রহস্য তৈরি হয়েছে।

পরিবারের আরও অভিযোগ, মঙ্গলবাল সকালে ঘরের মধ্যে বেশ কিছু জুতোর ছাপ লক্ষ্য করা গিয়েছে। নাবালিকার মামার দাবি, খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। আজ কাকদ্বীপ হাসপাতালে ছাত্রীর দেহের ময়নাতদন্ত হবে। সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ।

পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিবার এখনও কোনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হবে। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, ‘ঘরে ঢুকে দেখি ফাঁস লাগিয়ে পড়ে রয়েছে। আমাদের ধারণা কেউ বাড়িতে এসে এই কাজ করছে। তারপর খুন করে ওকে ঝুলিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছে। ‘