দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার ঘটনা। এই ঘটনায় এলাকার মেয়ে-বউরা ওই বৃদ্ধকে আটকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযোগ, সারাক্ষণ মদ খেয়ে থাকেন ওই বৃদ্ধ। নাবালিকা কথা বলতে পারে না, ভালভাবে হাঁটাচলাও করতে পারে না। সেই সুযোগেই তার শরীরের ব্যক্তিগত অঙ্গে হাত দেন বৃদ্ধ। যদিও বৃদ্ধ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে গ্রেফতারির পর পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “এলাকায় বৃদ্ধ এক বাসিন্দা থাকেন। ৬০-৬৫ বছর বয়স। সবসময় মদ খেয়ে থাকেন উনি। বাচ্চাটার সঙ্গে কী করছেন আগে আসল উদ্দেশ্যটা বোঝা যায়নি। গতকাল বাচ্চাটাকে ঘরের ভিতর নিয়ে গিয়ে গায়ে হাত দিচ্ছিল। উল্টোদিকের বাড়ির বৌদি সবটা দেখেন। দেখেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। এরপরই সব মহিলারা ওনাকে ক্লাবের কাছে নিয়ে যান। আমরাই এগিয়ে যাই। পুলিশকে জানাই সবটা। মেয়েটা ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারে না, কথা বলতে পারে না। এরকম ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
যে মহিলা সবটা দেখেছিলেন, তিনি বলেন, সবে খেয়েদেয়ে উপরে থালা রাখতে গিয়েছেন। জানলা দিয়ে দেখেন ওই বৃদ্ধ নাবালিকার গায়ে নোংরাভাবে হাত দিচ্ছেন। বাড়িতেই তাঁর বৃদ্ধা দিদি শাশুড়ি থাকেন। তাঁকে সবটা দেখান। এরপরই দু’জনে মিলে চিৎকার করতেই ঘরে ঢুকে পড়েন অভিযুক্ত। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকারও করেন। ততক্ষণে পাড়ার লোকেরা জড়ো হয়। বৃদ্ধকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় ক্লাব চত্বরে। এরপরই নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় বৃদ্ধকে।