
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নরেন্দ্রপুরে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। বাড়ির বিছানা থেকেই ছাত্রীর শায়িত দেহ উদ্ধার। মৃতার পাশে বসেছিলেন এক যুবক। প্রতিবেশীদের বক্তব্যে উঠে আসছে ভয়ঙ্কর তথ্য। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে সন্দেহভাজন সেই যুবক। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। যুূবকের সঙ্গেই ওই ছাত্রীর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল বলে প্রতিবেশীরা দাবি করছেন। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে এর আগেও পাড়ায় অসভ্যতা করার অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। তদন্তের দাবি করে যুবকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। যদিও যুবকের পরিবারের পাল্টা দাবি, ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার চরকলতায় একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। বুধবার বিকালে ঘর থেকেই তার দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ঘটনার সময় ঘরের ভেতরে উপস্থিত ছিল সায়ন্তিকার প্রেমিক কৃ্ষ দাস। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালা দিয়ে ঘরের ভিতর অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পেয়ে, ভিতরে ঢোকেন। দেখেন, খাটের ওপর শুয়ে রয়েছে ওই ছাত্রী। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, চিকিৎসকরা ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী কৃষ দাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল কিছুদিন আগে। তবে কৃ্ষের বিরুদ্ধে আগেও এলাকার একাধিক মহিলার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে বহুবার কৃ্ষের পরিবারের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বুধবার বিকেলে সায়ন্তিকা ও কৃ্ষ ফোনে কথা বলছিল বলে পরিবারের দাবি। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ছাত্রী তার মাকে মেসেজ করে সমস্ত সামাজিক মাধ্যম ও ফোনের পাসওয়ার্ড পাঠিয়ে দেয়। তখন বাবা-মা দু’জনেই কাজে বাইরে ছিলেন এবং ছোট বোনও টিউশনে গিয়েছিল। ফলে বাড়িতে কেউ ছিল না।
এদিকে কৃ্ষের বাবা জানিয়েছেন, “আমার ছেলে যদি দোষী হয়, তাহলে তার উপযুক্ত শাস্তি হোক।” ইতিমধ্যে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার।