সাইকেলের চাকায় জড়াল দড়ি! অভিনব কায়দায় কেপমারি, লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন বৃদ্ধ

Fraud Case: সঙ্গে সঙ্গে বারুইপুর থানায় ছোটেন সাইকেল নিয়ে। পুলিশের কাছে পুরো ঘটনার বিবরণী দেন বৃদ্ধ।

সাইকেলের চাকায় জড়াল দড়ি! অভিনব কায়দায় কেপমারি, লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন বৃদ্ধ
অভিযোগকারী প্রাক্তন স্বাস্থ্য আধিকারিক।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2021 | 9:26 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এমন অভিনব উপায়ে কেপমারি অতি সম্প্রতি দেখা যায়নি। সাইকেলের চাকায় দড়ি জড়িয়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন প্রাক্তন স্বাস্থ্য আধিকারিক। বারুইপুরের (Baruipur) মল্লিকপুরে বুধবারের এই ঘটনায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। দুষ্কৃতীদের নতুন ফাঁদে চাপ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

স্থানীয় ক্ষুদিরাম পল্লির বাসিন্দা প্রণবকুমার মণ্ডল। বয়স ৬৭ বছর। এক সময় স্বাস্থ্য আধিকারিক হিসাবে কাজ করেছেন। বছর সাতেক হল অবসর নিয়েছেন। বুধবার প্রণববাবু স্থানীয় হরিহরপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন টাকা তুলতে। সেখান থেকে প্রয়োজন মতো ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা তোলের বলে অভিযোগ। সাইকেলেই যাতায়াত করেন তিনি। এদিনও ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে সঙ্গে থাকা বাজারের ব্যাগে টাকাটি ভরে বাড়ির পথে ফিরছিলেন। হঠাৎই মল্লিকপুর বাজারের সামনে তাঁর সাইকেলের চাকায় কিছু একটা জড়িয়ে যায়। সে সময় চারপাশ ফাঁকাই ছিল।

প্রণববাবুর অভিযোগ, ঘাড় ঘুরিয়ে তিনি দেখেন সাইকেলের পিছনের চাকায় একটি দড়ি জড়িয়ে রয়েছে। কী ভাবে এই দড়িটি জড়াল তা ভেবে হতবাক হন তিনি। কারণ, এ ভাবে দড়ি জড়ানোর কোনও পরিস্থিতি সেখানে ছিলই না। এদিকে সাইকেল থেকে নেমে চাকাটি দড়ি-মুক্ত করতে গেলে বেশ সমস্যাতেই পড়তে হয় তাঁকে। কোনও ভাবেই সেই দড়ি ছাড়ানো যাচ্ছিল না। আশেপাশে তেমন কাউকে পাচ্ছিলেনও না সাহায্যের জন্য। বহু চেষ্টা করে কোনও ক্রমে চাকা থেকে দড়িটি সরাতে সক্ষম হন।

এরপরই আসল ঘটনা নজরে আসে। মাথা তুলে সাইকেলের ব্রেক হ্যান্ডেলের দিকে তাকাকেই দেখেন ব্যাগটি উধাও। সেই ব্যাগে প্রণববাবুর ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা তো ছিলই। সঙ্গে ছিল দু’টি ফিক্সড ডিপোজিটের সার্টিফিকেট এবং পাসবুকও। একই সঙ্গে সমস্ত কিছু হারিয়ে ফেলেন তিনি। এই ঘটনায় কপালে হাত পড়ে যায় ওই অবসর প্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিকের।

সঙ্গে সঙ্গে বারুইপুর থানায় ছোটেন সাইকেল নিয়ে। পুলিশের কাছে পুরো ঘটনার বিবরণী দেন। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেইএলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশিও শুরু করা হয়েছে।

প্রণবকুমার মণ্ডলের কথায়, “হরিহরপুর সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা তুলি। সঙ্গে দু’টো পাসবই, তিনটে ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেট ছিল  আমার। সেগুলি একটা ব্যাগে ভরে সাইকেলে ফিরছিলাম। মাছ বাজারের মুখে ঢোকার সময় দেখি সাইকেলের চাকায় একটা দড়ি জড়িয়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে কেউ ইচ্ছা করে করেছে। আমি সেই দড়ি খুলতে যাই। কয়েক মিনিট সময় লেগেছে। সোজা হতেই দেখি ব্যাগটা উধাও। পুলিশকে জানালাম। উল্টো দিকের বাড়িতে একটা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। যদি তা থেকে দেখে কাউকে ধরা যায়।”

আরও পড়ুন: মাঝ রাতে পুলিশ এল পর্ণশ্রীর বাড়িতে, ‘রহস্যজনক’ ব্যাগ হাতে ভ্যানে উঠল নিহতের স্বামী