Behala Murder: মাঝ রাতে পুলিশ এল পর্ণশ্রীর বাড়িতে, ‘রহস্যজনক’ ব্যাগ হাতে ভ্যানে উঠল নিহতের স্বামী

সোমবার রাতে পর্ণশ্রীর এক আবাসন থেকে মা ও ছেলের নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়।

Behala Murder: মাঝ রাতে পুলিশ এল পর্ণশ্রীর বাড়িতে, 'রহস্যজনক' ব্যাগ হাতে ভ্যানে উঠল নিহতের স্বামী
নিহত মা ও ছেলে (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2021 | 8:45 AM

কলকাতা: পর্ণশ্রীকাণ্ডে (Behala Murder Case) রোজই নিত্য নতুন রহস্যের জাল বুনছে। মা-ছেলে খুনের ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় নিহত সুস্মিতা মণ্ডলের স্বামী তপন মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে লালবাজারের তদন্তকারীরা। বুধবারও চলেছে প্রশ্নোত্তর পর্ব। এরই মধ্যে এদিন গভীর রাতে পর্ণশ্রীর সেই আবাসনে হানা দেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা। প্রায় এক ঘণ্টা পর তপন মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যান। তপনের হাতে ছিল একটি ব্যাগ। যে ব্যাগ ঘিরে বাড়ছে জল্পনা।

বুধবার তখন প্রায় রাত ১১টা ২০। হঠাৎই বেহালা পর্ণশ্রীর (Parnashree Murder) সেন পল্লির সেই আবাসনে ঢোকেন হোমিসাইড শাখার পাঁচজন আধিকারিক। প্রায় এক ঘণ্টা ওই আবাসনের ভিতরেই ছিলেন তাঁরা। কেন এত রাতে আচমকা তদন্তকারীদের এই অভিযান, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। নতুন কোনও তথ্য হাতে আসতেই কি গভীর রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর প্রয়োজন পড়ল তদন্তকারীদের? অন্যদিকে এদিন রাত প্রায় ১২টা ২০ নাগাদ যখন সেন পল্লির ওই আবাসন থেকে হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা বের হন, তখন সঙ্গে ছিলেন নিহত সুস্মিতা মণ্ডলের স্বামী ও নিহত তমোজিৎ মণ্ডলের বাবা তপন মণ্ডল। তপনের হাতে একটি ব্যাগ ঝোলানো ছিল। কিন্তু সেই ব্যাগে কী ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

তপন মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও রকম অভিযোগ নেই বলেই প্রথম থেকে দাবি করে আসছেন সুস্মিতার বাপের বাড়ির লোকজন। সুস্মিতার বাবা, দিদি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তপন তাঁর স্ত্রীর প্রতি কর্তব্যে কখনও কোনও গাফিলতি করেননি। এদিকে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে, তাতে তপন মণ্ডলের সঙ্গে একাধিক বার কথা বলতেই হচ্ছে তদন্তকারীদের। বিশেষ করে তপনের হাতের আংটির মধ্যে রক্ত কোথা থেকে এল, তা পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছে।

শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক কর্মী তপন মণ্ডলকেই নয়, ইতিমধ্যে তাঁর বেশ কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্কের কর্মীরা গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অফিসে গিয়েছিলেন তপন। যে সময় নিয়ে পুলিশের ধন্দ, সে সময় তিনি ব্যাঙ্কেই ছিলেন। পুলিশের অনুমান, তিনটে থেকে পাঁচটার মধ্যে এই খুন করা হয়েছে। এদিকে ব্যাঙ্ক কর্মীরা জানিয়েছেন, তপন সেই সময় কর্মস্থলেই ছিলেন। এখানেই প্রশ্ন! তা হলে সে সময় হঠাৎ তপনের ফোনের সুইচ কেন বন্ধ ছিল? ব্যাটারি বা অন্য সমস্যা থাকলে তা টাান ২ ঘণ্টা কেন হল? আর যদি সমস্যা গুরুতরই হয়, তা হলে ২ ঘণ্টা পর তা কী ভাবে ঠিক হয়ে গেল? পুলিশ ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে, কিছু অপরিচিত নম্বর থেকে তপনের মোবাইলে ফোন আসে। ঘটনার দিন তপন মণ্ডলের ফোন অন হতেই বেশ কিছু মিসড কল অ্যালার্টও আসে। একটা বড় অংশ ছিল অপরিচিত নম্বরের।

সোমবার রাতে পর্ণশ্রীর এক আবাসন থেকে মা ও ছেলের নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ঘর। কোনও ক্রমে কাপড়ে মুড়ে দেহ দু’টি তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার তদন্তে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। সব দিক খোলা রেখেই এগোচ্ছে তদন্ত।

আরও পড়ুন: ‘তুমি সুন্দরী, আমাদের সঙ্গে গেলে অনেক টাকা রোজগার করতে পারবে’, টোপ গিললেই ঠিকানা অন্ধকার গলি