জীবনতলা: ঈদ উপলক্ষে ছিল ছুটি। উৎসব পালনে ব্যস্ত ছিলেন প্রায় সকলেই। এর মধ্যেই ঘটে গেল অঘটন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্তর্গত জীবনতলায় খুন হলেন ব্যক্তি। দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে রড দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ফিশারির আল নিয়ে গন্ডগোলের জেরে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। ধরিয়ে দেওয়া হল আগুন। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম আবদার পিয়াদার (৩৯)। অপরদিকে, এই মৃত্যুর পিছনে নাম জড়িয়েছে আবুল মাজেদ লস্করের। অভিযোগ, আবদারের সঙ্গে লস্করের দীর্ঘদিন জমি নিয়ে বিবাদ। গতকাল ঈদের দিনে সেই বিবাদ পৌঁছয় চরমে। আবদারকে রড দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে লস্করের বিরুদ্ধে। এরপরই মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা লস্করদের বাড়িতে চড়াও হয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাস্তা অবরোধ করে। পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইট বৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা পরিস্থিতি সামাল দেয়। এ প্রসঙ্গে শওকত মোল্লা বলেন, “ফিশারির বাঁধ নিয়ে দু’জনের মধ্যে গন্ডগোল। সেই কারণে একে অন্যকে লোহার রড দিয়ে মেরেছে। ঈদের দিন সবাই ব্যস্ত। সেই সময় শুনছি এই ঘটনা ঘটেছে।”
উল্লেখ্য, এর আগে এই জীবনতলাতেই এক তৃণমূল কর্মীকে মাদক খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। তিনি স্থানীয় ২১৮ নম্বর বুথের তৃণমূলের সম্পাদক ছিলেন। পরিবারের দাবি ছিল, টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে তাঁকে। সেই সময়ও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন শওকত মোল্লা। পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। ১৩ তারিখের ঘটনার পর এক সপ্তাহ গেল না ফের খুনের অভিযোগ উঠল ওই এলাকা থেকে।