AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Arms trafficking: প্রতিবেশীদের আড়ালেই চলত অস্ত্রের কারবার, ফের জীবনতলায় হদিশ অস্ত্র কারখানার

Sonarpur: উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম।

Arms trafficking:  প্রতিবেশীদের আড়ালেই চলত অস্ত্রের কারবার, ফের জীবনতলায় হদিশ অস্ত্র কারখানার
জীবনতলায় হদিশ অস্ত্র কারখানার
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2021 | 3:38 PM
Share

সোনারপুর: কখনো আগ্নেয়াস্ত্র পাচার, কখনও অস্ত্র উদ্ধার কখনও বা মাদক পাচার। বারবার সামনে এসেছে জেলার নাম। এবার ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল পুলিশ। এর আগেও কিছুদিন আগে অস্ত্র কারখানার হদিশ পায় তারা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার অন্তর্গত হোমরা পলতা এলাকা। সেইখান থেকেই অস্ত্র-কারখানার হদিশ পান পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর প্রস্তুত আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এক এলাকাবাসী বলেন, “যে গ্রেফতার হয়েছে সে কী কাজ করত জানি না। তবে উনি চাষবাস করতেন পাশাপাশি আমাদের সঙ্গে মেলামেশাও করতেন। তবে রাতের বেলা কী কাজ করত তা আমরা বলতে পারব না। এরপর গতকাল হঠাৎ পুলিশ এসে শুনলাম রেড করেছে। তারপর ওকে তুলে নিয়ে গিয়েছে।”

এদিকে, প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক সহ একাধিক সরকারি আধিকারিকদের সই জাল করে নকল স্ট্যাম্প তৈরি ও পরে সেই স্ট্যাম্পের সাহায্য নিয়ে অস্ত্র কেনা ও বিক্রির কারবার চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ছয়জন অপরাধী।

এদিকে, এই ঘটনার খবর দীর্ঘদিন ধরেই আসছিল পুলিশের কাছে। যার জেরে তৎপর ছিল তারাও। পাশাপাশি তৎপর হয় সিআইডি-র গোয়েন্দারা। সেই সূত্রে গতকাল রাতে বর্ধমান জেলার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চালানোর পর ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে দুজন হলেন নিরাপত্তারক্ষী। এই গোটা চক্রের কাছ থেকে পাঁচটি অস্ত্র মিলেছে। পাশাপাশি মিলল পাঁচটি ভুয়ো লাইসেন্স, ও ৩৬টি ভুয়ো স্ট্যাম্প পাওয়া গিয়েছে। এই সইজাল করে কারবারটি চলত।

জানা গিয়েছে, ওই চক্রের মূল পাণ্ডা হল নিরাপত্তারক্ষীরা। তাদের থেকেই জাল লাইসেন্স কিনে সেই লাইসেন্স দিয়ে অস্ত্র কেনা হয়েছিল। মোটা টাকার বিনিময়ে জেনেশুনেই তারা কেনে।

আপাতত, সিআইডি-র দাবি এই চক্রের সঙ্গে দুষ্কৃতী চক্রের সরাসরি কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে সেই সম্ভবনা উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না যেহেতু অস্ত্রের কারবার। সেই কারণে আজই এদের আদালতে তোলা হবে। নেওয়া হবে পুলিশি হেফাজতে। তারপর এদের জেরা করে দেখা হবে কে কে আর এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। কোনও দুষ্কৃতী চক্র এর সঙ্গে জড়িত কিনা।

আরও পড়ুন: Body Recovered at Patashpur: চুরির টাকার বাঁটোয়ারা নিয়ে বিরোধ, পটাশপুরে গুলিকাণ্ডে ধৃত ৩