ভাঙড়: গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তি থামছে না। ফের মৃত্যু সেখানে। এবারও আইএসএফ কর্মী। মৃতের নাম রেজাবুল গাজি। বয়স ২৪। রেজাবুলের মৃত্যুতেও অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃতের পরিবারের লোকজন খুনের অভিযোগ তুলছেন। শুধু তাই নয়, দায়ি করছেন আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে, শওকত মোল্লাকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভোগালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ১৯১ নম্বর বুথের ঘটনা।
মৃত আইএসএফ কর্মী হাসান আলির পরিবারের মতো একই মন্তব্য করেন রেজাবুলের স্ত্রীও। তিনি বলেন, “আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে, শওকত মোল্লা ওরা পুলিশের পোশাক পরিয়ে এনেছিল গুণ্ডাবাহিনীকে। ওরাই গুলি করেছে।” এরপর কাঁদতে কাঁদতে তিনি জানান আর কোনও কথাই বলতে পারছে না তিনি। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ জেলা পরিষদ জিতেছে আইএসএফ। এরপর ওরা বারংবার আমাদের মুচলেকা দিতে বলে হেরে যাওয়ার। বলে সই কর তোরা। গণনাকেন্দ্রের ভিতরেই মারছিল। শওকত মোল্লা ও আরাবুল গুণ্ডাবাহিনীকে পুলিশের পোশাক পরিয়েছিল। ওরা গুলি করেছে। এরপর পিছনে বিডিও রয়েছে। আর কত মারবে? আমরা আর পারছি না।” রাজ্য প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলে গ্রাম্য এক মহিলার প্রশ্ন, “এটা কি কসাইখানা পেয়েছেন আপনারা?”
উল্লেখ্য, আজ সকালে আরও একজনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। তিনিও আইএসএফ কর্মী। মৃতের নাম হাসান আলি। (২৬। আরজিকরে ভর্তি ছিলেন। আজ সকালবেলা মৃত্যুর খবর আসে।