
ভাঙড়: দক্ষিণ ২৪ পরগনার গ্রামীণ জনপদ ভাঙড়ের নাম বাংলার রাজনীতিতে বার বার উচ্চারিত হয়েছে। প্রথমে এর দখল ছিল কংগ্রেসের হাতে। তার পরে বামেদের দাপট। গত বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একমাত্র আসন যেখানে বিরোধীপক্ষ জিতেছে। যুযুধান প্রতিপক্ষ বিজেপি নয়, বরং গত বিধানসভা নির্বাচনে সদ্য জন্ম নেওয়া আইএসএফ জেতে, তরুণ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির হাত ধরে।
ভাঙড়ের সাম্প্রতিক ইতিহাস বলছে, গত চার বছরে সেভাবে নওশাদের দাদা সেই তেজি নেতা আব্বাসকে সেভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। তবে ভাঙড়ের মাটিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, আগামী নির্বাচনে এবার ময়দানে নামতে পারেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। এদিন ভাঙড় পুনরুদ্ধারে শাসকদল সর্বৈব দায়িত্ব দিয়েছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার ওপরে।আর এবার আব্বাসের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রার্থী হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।
ভাঙড়ের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বারবার তপ্ত হয়েছে নওশাদ বনাম শওকতের লড়াইয়ে। এবার ময়দানে ‘রিএন্ট্রি’ নিচ্ছেন নওশাদের দাদা আব্বাস। অন্তত রাজনৈতিক মহলে তেমনটাই খবর। রবিবার ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে শোনপুর সবজি বাজার পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। আইএসএফ-এর বিরুদ্ধেই তাঁর এই প্রতিবাদ মিছিল।
মিছিল শেষে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে আব্বাস সিদ্দিকিকে হুঁশিয়ারি দিলেন শওকত। তিনি বলেন, “একবার আমার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াও, তুমি যেখানে দাঁড়াবে, আমি সেখানেই দাঁড়াবো। তুমি ভাঙড়ে দাঁড়ালে আমি ভাঙড়ে তোমার বিরুদ্ধে প্রার্থী হব।” এছাড়াও বারুইপুর, ক্যানিং-সহ একাধিক বিধানসভার উল্লেখ করে বলেন, “আব্বাস যেখানে প্রার্থী হবে, আমি তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হব।”
গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে জোর লড়াইয়ে নেমেছিলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা। ভাঙড়কে পাখির চোখ করে আব্বাস লড়াই শুরু করেন। সেই ভাঙড়েই ভাই নওশাদকে দাঁড় করিয়ে তৃণমূলকে জবাব দেন। আবার ছাব্বিশের নির্বাচনের সমরে কি তবে সম্মুখ সমরে আব্বাস-শওকত? প্রহর গুনছে ভাঙড়।