ISF Leader: একাধিক গুরুতর অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই ফেরার, অবশেষে পুলিশের ফাঁদে ভাঙড়ের দাপুটে ISF নেতা

ISF Leader: আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করলেও শাহিন আদালতে হাজিরা দেননি। প্রায় এক বছর ধরে পুলিশের চোখেধূলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ওই আইএসএফ নেতা। উত্তর কাশীপুর থানার ওসি অমিত চট্টোপাধ্যায় শাহিনের লোকেশান জানতে পেরে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজার কাছে নাকা চেকিং বসান।

ISF Leader: একাধিক গুরুতর অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই ফেরার, অবশেষে পুলিশের ফাঁদে ভাঙড়ের দাপুটে ISF নেতা
শাহিন কাদিরImage Credit source: TV-9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 14, 2024 | 11:20 AM

ভাঙড়: একটা দু’টো দিন নয়, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা শাহিন কাদির। অবশেষে শুক্রবার রাতে ওই নেতাকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজা পেরোনোর সময় তিনি পুলিশের জালে ধরা পড়েন। ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুর থানার চক মরিচা গ্রামে বাড়ি শাহিনের। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র আইন, সংঘটিতভাবে হামলা চালানো-সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে চালতাবেড়িয়া অঞ্চল থেকে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছিলেন শাহিন। ওই বছর  ১৫ জুন মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন শাহিন কাদির ভাঙড় ২ ব্লক অফিসে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল তাঁদের বাধা দেয়। ওই দিন তার মত আরও অনেক প্রার্থী বাধা পাওয়ায় আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে গুলি-বোমার লড়াই শুরু হয়ে যায়। সবটাই হয়েছিল বিজয়গঞ্জ বাজারের মেলার মাঠে। সেই ঘটনায় এক আইএসএফ কর্মী ও দুই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়ায় শাহিন কাদির-সহ অন্যান্যদের। পরবর্তীকালে মরিচা গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়ে চারজন আইএসএফ কর্মী গুরুতর জখম হন। 

ওই ঘটনাতেও নাম জড়ায় শাহিন-সহ বেশ কয়েকজনের। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করলেও শাহিন আদালতে হাজিরা দেননি। প্রায় এক বছর ধরে পুলিশের চোখেধূলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ওই আইএসএফ নেতা। উত্তর কাশীপুর থানার ওসি অমিত চট্টোপাধ্যায় শাহিনের লোকেশান জানতে পেরে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজার কাছে নাকা চেকিং বসান। তাতেই ধরা পড়েন আইএসএফ নেতা।