Sonarpur: বাবার মৃত্যুতে পৈত্রিক ভিটেয় যান, বাড়ি ফিরতে নিঃস্ব শিক্ষক, ৩ দিনে ঘটল অনর্থ

Sonarpur: বাসন্তী হাইস্কুলের সংস্কৃত শিক্ষক রামশঙ্কর মন্ডল ও তাঁর পরিবারের দীর্ঘ ২১ বছরের বাস রূপনগরের ওই বাড়িতে। গত ১৩ই জুন তাঁর পিতার মৃত্যুর কারণে তিনি গোসাবার রাঙাবেলিয়ায় পৈত্রিক ভিটেয় গিয়েছিলেন। তখন বাড়ি ছিল তালাবন্ধ। সোমবার, ১৬ জুন তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, প্রধান গেটের তালা নেই।

Sonarpur: বাবার মৃত্যুতে পৈত্রিক ভিটেয় যান, বাড়ি ফিরতে নিঃস্ব শিক্ষক, ৩ দিনে ঘটল অনর্থ
অভিযুক্ত শিক্ষক Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 17, 2025 | 11:27 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গ্রামের বাড়ি থেকে বাবার মৃত্যুর খবর এসেছিল। সেই খবর পেয়েই গ্রামের বাড়িতে সপরিবারে গিয়েছিলেন শিক্ষক। তিন দিন বাড়ি ছিলেন না। তার মধ্যেই বড় অঘটন! বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াতেই ছ্যাৎ করে ওঠে বুক! তালা ভাঙা, তখনই বিপদ আঁচ করেছিলেন। গোটা বাড়ি লন্ডভন্ড। ঘরের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে জিনিস।  সোনারপুর থানা এলাকার রূপনগরে ফাঁকা বাড়িতে তালা ভেঙে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল।

বাসন্তী হাইস্কুলের সংস্কৃত শিক্ষক রামশঙ্কর মন্ডল ও তাঁর পরিবারের দীর্ঘ ২১ বছরের বাস রূপনগরের ওই বাড়িতে। গত ১৩ই জুন তাঁর পিতার মৃত্যুর কারণে তিনি গোসাবার রাঙাবেলিয়ায় পৈত্রিক ভিটেয় গিয়েছিলেন। তখন বাড়ি ছিল তালাবন্ধ। সোমবার, ১৬ জুন তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, প্রধান গেটের তালা নেই।

বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখেন, নীচতলায় একটি ঘর ও দোতলার তিনটি ঘরের প্রতিটি তালা ভাঙা। শিক্ষকের দাবি,  তিনটি স্টিলের আলমারি ও দুটি শোকেস ভেঙে দুষ্কৃতীরা নিয়ে গিয়েছে প্রায় ১৫ ভরি সোনার গয়না ও নগদ ১ লক্ষ টাকা, যা তাঁর স্ত্রী সুতপা মন্ডলের অপারেশনের জন্য সংরক্ষিত ছিল। আরও বেশ কিছু জিনিস খোওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা ৷

রামশঙ্করবাবুর অনুমান, নীচতলার বাথরুমের জানালার গরাদ কেটে ভিতরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। বাড়িটি ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত, চারপাশে বাড়িঘরে ভর্তি হলেও কীভাবে এত বড় চুরি হয়ে গেল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

চুরির ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় নাকাফি পুলিশি টহল ও পর্যাপ্ত আলো না থাকায় চোরেরা নির্বিঘ্নে এমন ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সোনারপুর থানায় ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রামশঙ্কর। তদন্তে নেমেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পাড়ার মধ্যে এই ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন প্রতিবেশীরাও।