ভাঙড়: কয়েকদিন আগেই ভাঙড়ের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাই তড়িঘড়ি মাঠে নেমে পড়ছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, “দল বিরোধী কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,কোনও কম্প্রোমাইজ হবে না।”
দায়িত্ব পাওয়ার বুধবার ভাঙড়ের বামনঘাটায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে প্রথম কর্মীসভা করেন শওকত। যেখানে শওকত মোল্লার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার আরাবুল ইসলাম, রহীম মোল্লা সহ একাধিক নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের সংবদ্ধ করতে এটাই ছিল শওকত মোল্লার প্রথম কর্মীসভা। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভাঙড়ের নবনির্বাচিত পর্যবেক্ষক দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দেন যে দল বিরোধী কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ভাঙড়ের বামনঘাটা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত। একাদিকে আরাবুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত প্রদীপ মণ্ডল অন্য দিকে আরাবুল বিরোধী হিসাবে পরিচিত মহাসিন গাজির গোষ্ঠী। এছাড়া বামনঘাটা পঞ্চায়েত প্রধান অমরেশ মণ্ডলের গোষ্ঠীও আছে। যদিও সাম্প্রতি প্রদীপ মণ্ডল আরাবুল ইসলামের থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছে। প্রধান অমরেশ মণ্ডল আরাবুলের কাছাকাছি এসছে। এরকম একটি রাজনৈতিক সমীকরণে নিজেদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ভুলে সঙ্গবদ্ধভাবে আইএসএফের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তৃণমূল নেতৃত্বরা দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন।
শওকত মোল্লার পাশাপাশি এদিন আরাবুল ইসলাম বলেন, “বামনঘাটায় যখনই কিছু হয়েছে আমি এখানে দৌড়ে এসেছি। অনেক সংগ্রাম লড়াই এই বামনঘাটা থেকেই শুরু হয়েছে। আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।গোষ্ঠী একটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর গোষ্ঠী। শওকত মোল্লার নেতৃত্বে আমরা এখানে লড়াই করব। সঙ্গবদ্ধ লড়াই করলে আইএসএফ বিজেপিকে পরাজিত করতে পারব।”