Kulpi: রাস্তায় ঘিরে ধরে তৃণমূল যুব নেতাকে পিটিয়ে খুনের চেষ্টা, শাসকদলের পার্টি অফিসে ‘আনাগোনা’ করে অভিযুক্তরা
Kulpi: কুলপির তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুপ্রিয় হালদার বলেন, "বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী শামসুরকে রাস্তায় দেখে গালিগালাজ করতে থাকে। তার প্রতিবাদ করেন তিনি। তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়।"

কুলপি: বাড়ি ফেরার পথে রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতিকে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। রবিবার সন্ধে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থানার শ্যামপুরচক মোড়ে। আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতার নাম শামসুর আলম মীর। বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন শামসুরের কাকা। অচৈতন্য অবস্থায় কুলপি ব্লকের তৃণমূলের যুব সভাপতি শামসুর আলম মীরকে উদ্ধার করে কুলপি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ব্রেনে গুরুতর আঘাত থাকায় রাতে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। অন্যদিকে শামসুরের কাকা রাজের শেখ কুলপি ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলার ঘটনায় রাতেই কুলপি থানায় তৃণমূলের পাঁচ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জখম ব্লক যুব সভাপতির স্ত্রী। অভিযুক্তরা সকলেই কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। সংগঠন কার হাতে থাকবে তা নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে বিধায়ক গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর গন্ডগোল চলছিল বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। তার জেরেই এই হামলা কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সরব হয়েছেন কুলপির তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুপ্রিয় হালদার। তিনি বলেন, “বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী শামসুরকে রাস্তায় দেখে গালিগালাজ করতে থাকে। তার প্রতিবাদ করেন তিনি। তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়।” এই হামলায় বিধায়কের হাত রয়েছে কি না, এই নিয়ে তিনি বলেন, “বিধায়কের হাত রয়েছে কি না, বলতে পারব না। তবে অভিযুক্তরা আমাদের দলীয় অফিসে আনাগোনা করে। আমি জানি না কার ইন্ধনে এরা উড়ছে। পুলিশকে অনেকবার জানিয়েছি। এই ঘটনার নিন্দা করি। পুলিশের কাছে দাবি জানাই, এই হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা হোক।” এদিকে, বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ও আইএসএফ।
এই খবরটিও পড়ুন









