
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বরাবরই বিরোধীদের অভিযোগ থাকে, পুলিশের একাংশ নাকি শাসকদলের মদতপুষ্ট। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এবার খোদ শাসকদলের বিধায়ক ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁর এলাকার পুলিশ প্রশাসনের একাংশের কর্তব্য নিয়ে। সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দিলেন, ‘ক্যানিংয়ে এলেই ঘেরাও করা হবে।’ ক্যানিং ২ পঞ্চায়েত সমিতির মাখালতলার একটি সভা থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস। পরেশরাম দাস। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। কিন্তু হঠাৎ পুলিশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধায়ক।
জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারিশরিফ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুকুমার রুইদাসের বিরুদ্ধে জমির দালালি করার অভিযোগ উঠেছে। বিধায়কের অভিযোগ, খাস জমি নিজের নামে করে নিয়েছেন ওই এসআই। সেই বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েই কথা প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, “ক্যানিংয়ে জমি রেজিস্ট্রি করতে এলেই ঘেরাও করব।” মঞ্চ থেকে বিধায়ক বলেন, “এই যে ঘুটিয়ারিশরিফের এসআই রয়েছেন, তাঁর ব্যবস্থা তো আমি নেবই। এখানে যত খাস জমি রয়েছে, পুলিশের উর্দি পরে জমির দাম নিজের নামে নিচ্ছেন।” মঞ্চ থেকে নেমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন তিনি। বলেন, “অন্যায় যদি হয়, সেটা আমার পরিবারেরও কেউ করে থাকলে, আমি বলবই। কিন্তু এই এলাকার যিনি দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠছে। মানুষকে মিথ্যা মিথ্যা কেস দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করছেন। এই এলাকার সমস্ত খাসজমি নিজের নামে দলিল করে নিচ্ছেন, তাঁর বিরুদ্ধে যেখানে যেখানে যাওয়ার আমি যাব। ”
তিনি জানান, এই বিষয়ে তিনি ইতিমধ্যেই পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তা, পুলিশ সুপার, এসডিও-কেও জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও ওই এসআই-এর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে পাশে বসিয়ে এমনই মন্তব্য করেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক।
শওকাত যদিও বলেন, “পুলিশ ভাল কাজ করছেন, দুএকজন বাদ দিয়ে। পুলিশের বিরুদ্ধে কোন ক্ষোভ নেই।” পুলিশের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।।