
জীবনতলা: বিজেপি কর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার জীবনতলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে এলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করে অর্চনা মজুমদার বলেন, ওই পরিবারের মহিলারা রাস্তায় বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। এদিকে, জীবনতলায় জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যের আসা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা।
দিন পাঁচেক আগে জীবনতলার মঠেরদিঘিতে বিজেপি কর্মী বাপন মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল কর্মীরা পরিকল্পনা করে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। হামলার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছিলেন, “মহিলাদের উফর নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়েছে।”
শনিবার জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তখন তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের মহিলা কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের বক্তব্য, একটি জমি দখল করতে চান বাপন মণ্ডল। ওই জমিতে একটি ক্লাব ছিল। কিন্তু, ঝড়ে সেই ক্লাব পড়ে যায়। এখন জায়গাটি দখল করতে উঠেপড়ে লেগেছেন ওই বিজেপি কর্মী।
বাপন মণ্ডলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গেও কথা বলেন অর্চনা মজুমদার। তারপর তিনি বলেন, “কারণ যাই হোক, এভাবে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের উপর হামলা ঠিক নয়। আমি নিজে এসে দেখলাম, ওই পরিবারের সাত মহিলা রাস্তায় বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। পুলিশ কেন নিরাপত্তা দিতে পারছে না? দুই মহিলার গলা টেপা হয়েছে। বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। মহিলাদের উপর যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা আমরা ছাড়ব না।” সম্পতি দখলের জন্য রাজনৈতিক রং দিয়ে এই লড়াই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বিজেপি কর্মীর বাড়িতে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যের যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “কুম্ভমেলায় মানুষ মরছে,তৃণমূল নেতারা মরছেন, তখন কোনও কমিশন আসে না। মঠেরদিঘিতে ছোট একটা কী হয়েছে, সেখানে কমিশনের লোকজন এসেছেন। ওসবে কিছু হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন।”