SIR Panic: বাড়িতে একা মা, মাঝরাতে আত্মহত্যা টোটো চালকের! নেপথ্যে এসআইআর আতঙ্ক?

SIR in Bengal: সুমনের দেহ উদ্ধার করে ব্যারাকপুরে বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে আসেন নোয়াপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক রাকেশচন্দ্র সাঁধুখা। তিনি মৃত যুবকের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। ছেলে যে এসআইআর নিয়ে চিন্তায় ছিল তা মানছেন মা।

SIR Panic: বাড়িতে একা মা, মাঝরাতে আত্মহত্যা টোটো চালকের! নেপথ্যে এসআইআর আতঙ্ক?
শোরগোল এলাকায় Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 12, 2025 | 2:58 PM

নোয়াপাড়া: এসআইআর নিয়ে চাপানউতোর চলছে পুরোদমে। আতঙ্কের জেরে এবার ফের আত্মহত্যার খবর আসছে গারুলিয়া সোদলাট্যাঙ্ক রোড এলাকা থেকে। এখানেই এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন দীপা মজুমদার। সঙ্গে থাকেন ৩২ বছরের ছেলে সুমন মজুমদার। পেশায় তিনি টোটো চালক। মঙ্গলবার গভীর রাতে নিজের ঘর থেকে উদ্ধার সুমনের দেহ। খবর চাউর হতেই শোরগোল শুরু হয়ে যায় এলাকায়। খবর যায় পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। ছুটে আসেন গারুলিয়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর পিতা পঙ্কজ দাস।

সুমনের দেহ উদ্ধার করে ব্যারাকপুরে বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে আসেন নোয়াপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক রাকেশচন্দ্র সাঁধুখা। তিনি মৃত যুবকের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। ছেলে যে এসআইআর নিয়ে চিন্তায় ছিল তা মানছেন মা। তিনি জানাচ্ছেন, একদিন আগেই তাঁদের কাছে এসআইআরের ফর্ম আসে। কিন্তু তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। তা নিয়েই চিন্তা করছিল সুমন। তিনি বলছেন, “ফর্ম দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের তো কোনও প্রমাণপত্র ছিল না। ওটা নিয়ে টেনশন করছিল। আমি বলছিলাম যে করেই হোক জোগাড় করব। কিন্তু ওর মনে ভয় কাজ করছিল। ও সব সময় বলছিল আমাদের মনে হয় পাঠিে দেবে!” 

একই কথা বলছেন গারুলিয়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পঙ্কজ দাস। মৃতের ছেলের সঙ্গে কথার পর তিনি বলছেন, “আমি খবর পেয়েছি এসআইআরের ফর্ম দেওয়ার পর ও মানসিকভাবে চিন্তায় ছিল। ওর মা যোগাযোগ করেছিল। আজ হঠাৎ ছিলাম হঠাৎ ও আত্মহত্যা করেছে। খুব খারাপ লাগছে। ওর মৃত্যুর পিছনে আর্থিক সঙ্কট যেমন রয়েছে তেমনই এসআইআর একটা বড় কারণ।”  

ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। আত্মহত্যার নেপথ্যে যে এসআইআর রয়েছে তা মানতে চাইছে না বিজেপি। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রিয়াংগু পান্ডে বলছেন, “লোন পরিশোধ না করতে পেরেই টোটো বিক্রি দিয়েছিলেন তিনি। তা নিয়ে মানসিক অবসাদেও ছিলেন। সেই মানসিক চাপ থেকেই আত্মহত্য়া করেছেন। ওর এসআইআর নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না।”