ভাঙড়: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়। ‘বোমাবাজি’, ঝরল রক্ত। বিডিও অফিসের কাছেই বোমার গর্জন। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজির অভিযোগ। বিজয়গঞ্জ বাজরের কাছে ৫৫টি বোমা পড়ে বলে অভিযোগ আইএসএফ কর্মীদের। বিডিও অফিসের সামনে চলে ৭ রাউন্ড ‘গুলি’। পুলিশের সামনেই চলে তাণ্ডব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। বোমাবাজি, ভাঙ কাচের বোতল-ইটবৃষ্টির আঘাতে আহত হন পুলিশ কর্মীরাই। এরপর ব্যাপক ধরপাকড়। হাতে লাঠি, ঢাল হাতে সটান ঢুকে পড়ে বিডিও অফিসের ভিতর। ভিতর থেকে মনোনয়ন দিতে আসা আইএসএফ কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলা হয়। আইএসএফ কর্মীদের হাতে তখনও কাগজ। পুলিশি ধরপাকড়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই এলাকায় পুলিশ ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি।
তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, তৃণমূল না পেরে এবার পুলিশকে পাঠিয়েছে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার জন্য। তাঁর কথায়, “প্রথমে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা আমাদের আটকানোর চেষ্টা করেছে। যখন ব্যর্থ হয়েছে, তখন পুলিশকে কাজে লাগিয়েছে। তবে আমাদের প্রার্থীদের আটকেছে, আমরা আইনি পথে লড়াই করব।”
মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। ব্যাপক বোমাবাজি, গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। আইএসএফ প্রতিরোধ গড়লে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অশান্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রশাসনের কাজ তো এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা। সকালে আমি প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, এই এই এলাকাগুলোতে অশান্তি হচ্ছে। সেখানে বেশি করে পুলিশ মোতায়েন করে দিন। অশান্তি আর তাহলে হত না। সবাই সবার মতো মনোনয়ন করবে, চলে আসবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটা হয়নি।”
মনোনয়ন ঘিরে চলছে তুমুল অশান্তি। মনোনয়ন দিতে না পেরে ক্যামেরার সামনে হাউ হাউ করে কেঁদেছেন তাঁর দলের কর্মী সমর্থকরা। তবে এসবের পরেও প্রত্যয়ী নওসাদ বলেছেন, “বাংলায় গণতন্ত্র বিপন্ন। আমরা এর পরেও মনোনয়ন জমা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে ভাঙড়ের শান্তির জন্য শাসক-বিরোধী সকলের কাছেই আমি অনুরোধ করব। মানুষ তার অধিকার প্রয়োগ করুক।”