মা চণ্ডীর পিণ্ডি চটকে ভূত করে দিয়েছেন, কিন্তু কলমাটা ঠিক পড়েন: শুভেন্দু
"সাড়ে ন'বছর তোষণ করে এখন নারায়ণকে বলছেন বিষ্ণুমাতা। চণ্ডীপাঠ দেখেছেন? মা চণ্ডীর পিণ্ডি চটকে ভূত করে দিচ্ছে। কলমাটা ঠিক পড়ে।'' পাথরপ্রতিমা থেকে মন্তব্য শুভেন্দুর
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: “সাড়ে ন’বছর তোষণ করে এখন নারায়ণকে বলছেন বিষ্ণুমাতা।” শনিবার পাথরপ্রতিমার সভা থেকে এভাবেই নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে গিয়ে মমতার সরস্বতী পুজোর মন্ত্রোচ্চারণকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে শুভেন্দুর তীব্র কটাক্ষ, “চণ্ডীপাঠ দেখেছেন? মা চণ্ডীর পিণ্ডি চটকে ভূত করে দিচ্ছে। কলমাটা ঠিক পড়ে।” মমতাকে ভোট না দেওয়ার আর্জি জানিয়ে নন্দীগ্রাম বিধানসভায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর আহ্বান, “ওনাকে ভোট দেবেন না। ধুতি, কণ্টি, মাথায় টিপ পরতে পারবেন না, যদি আর একবার ক্ষমতায় আসে। তাই হারাতেই হবে।”
এদিন বারবার মমতার সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় তোষণের অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “যতই নাটকবাজি করুন না কেন, পা ভাঙা, হাত ভাঙা, মাথা ভাঙা, কোনও কাজে লাগবে না। নন্দীগ্রামে হারাবই।” নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থীর গলায় প্রত্যয়ী সুর যে, প্রথম দফায় ভোট হওয়া ৩০ টি আসনেই তাঁরা জিতছেন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দুর মুখে ধদিনও উঠে এসেছে ‘ভাইপো’র নাম। তিনি বলেন, ”ওই দলে আমাদের মতো গাঁয়ের ছেলে দের বলা হত ল্যাম্পপোস্ট হয়ে থাকতে হবে। আর ভাইপোকে নেতা মানতে হবে। বলেছিলাম, তোমার তোলাবাজ ভাইপোকে নেতা মানতে পারব না।”
শুভেন্দুর বক্তব্যে উঠে আসে অযোধ্যা রামমন্দির তৈরিতে বিজেপি সরকারকে ঢালাও প্রশংসের কথা। এসেছে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির প্রসঙ্গ। তিন তালাক রদ করতে মোদী সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁর মন্তব্য, “মুসলিম মহিলারা তরকারিতে নুন দিয়ে দিলে আগে বলত তালাক, তালাক, তালাক। সেই তিন তালাক উঠিয়ে দিয়েছিলেন বলে মোদীজিকে ভোট দিচ্ছেন সংখ্যালঘু ভোটাররা।”
আরও পড়ুন: দোলের অনুষ্ঠানে মেজাজ হারালেন বাবুল সুপ্রিয়, চড় মারলেন দলীয় কর্মীকেই
রাজ্যের শাসক দল যখন বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে, তখন শুভেন্দু উল্টে তৃণমূল নেত্রীকেই এ নিয়ে কটাক্ষ করলেন। তাঁর দাবি, ধর্মের নামে বিভেদ করে না বিজেপি। তার পর তৃণমূল সরকারের সমলোচনা করে শুভেন্দুর মন্তব্য, “গত দশ বছরে শুধু মিছিলই করলাম। কেন্দ্রীয় সরকার জবাব চাই জবাব দাও। কিন্তু ৪৪ বছর পর সুযোগ এসেছে ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার। দু’হাতে দুটো লাড্ডু থাকবে। একটা মোদীজির একটা সোনার বাংলার সরকার।