দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ঝলসে গিয়েছেন বেশ কয়েকজন। বোমা বাঁধতে গিয়ে এই বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। আহতদের কারও হাত, পা, কারও মুখ, কারও শরীরে বীভৎসভাবে পুড়ে গিয়েছে। নির্বাচনপর্ব চলাকালীন একই দিনে দুই ভিন্ন রাজনৈতিক দলের তিনজন খুন হন। ভোটের গণনার দিন কাঠালিয়া হাইস্কুলের বাইরে মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়েছিল। পুলিশ কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছিল সেই রাতে। এবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়ার চকমরিচা বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। তিনজন গুরুতর আহত হন।
এমনও অভিযোগ, আহতরা একটি গাড়িতে কলকাতার পথে রওনা দিয়ে দেন। কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ আধিকারিকরা বাসন্তী হাইওয়ের কাঁটাতলা এলাকায় গাড়িটি আটকায়। এরপরই গাড়ির ভিতরকার ভয়াবহ দৃশ্য দেখে চোখ কপালে ওঠে সকলের। আহতদের চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
পুলিশ, কেন্দ্রীয়বাহিনী এখনও মোতায়েন রয়েছে। অথচ তারপরও এমন ভয়াবহ ঘটনা। তৃণমূলের অভিযোগ, আহতরা আইএসএফ কর্মী। তাঁরা বোমা বাঁধছিল বলেও অভিযোগ উঠছে। চকমরিচার কোনও মানুষ মুখ খুলতে নারাজ। অধিকাংশ বাড়িতে তালা ঝুলছে। যে এলাকায় এই ঘটনা, সেখানে যেন শ্মশানের নীরবতা।
এ বিষয়ে আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “আমার কাছে এখনও এরকম কোনও খবর নেই। তারপরও বলব আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। বোমাবারুদ বিহীন রাজনীতিই আমাদের লক্ষ্য। কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আরও একটা বিষয় বলা হচ্ছে, বোমা বাঁঁধতে গিয়ে ঝলসে গিয়েছে। তা বাঁধতে গিয়ে ঝলসে গিয়েছে, নাকি বোমা মারা হয়েছে তাতে ঝলসেছে তাও দেখা দরকার।”
তৃণমূলের বিধায়ক শওকত মোল্লার কথায়, “চকমরিচা গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়ে ৩ জন আইএসএফ কর্মী আহত হয়েছে। গ্রামের লোকজন কাঁটাতলায় তাঁদের ধরে ফেলে। এরপর পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছে আমার প্রশ্ন, কীভাবে আইএসএফের কর্মীরা এখনও বোমা বাঁধছে? আর নওশাদ সিদ্দিকিকে বলব, কোথা থেকে উনি এত বোমা, বন্দুক সাপ্লাই দিচ্ছেন উত্তর দিন। এই উত্তর আমরা চাই।”