Civet Meat: রান্নার জন্য চলছিল প্রস্তুতি, এ কীসের মাংস? পোলেরহাটে চাঞ্চল্য
South 24 Parganas: পুলিশ সূত্রে খবর, পোলেরহাটে যাযাবররা আসেন। শীত পড়লেই তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে পশু শিকার করেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গন্ধ গোকুল মেরে খাওয়ার অভিযোগে সাতজনকে আটক করল কাশীপুর (Kashipur PS) থানার পুলিশ। বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় শিয়াল, বক, পাখি, ভাম বিড়াল-সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণ মারার অভিযোগ উঠছিল। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে কাশীপুর থানার পুলিশ। এরপরই জানা যায়, বাইরে থেকে আসা একটা দল এলাকায় এসে থাকছে। খতিয়ে দেখে সাতজনকে আটকও করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে গন্ধ গোকুলের মাংসও উদ্ধার হয় বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। পুলিশের পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় বনদফতরেও। বনদফতরের কর্মীরা এসে মরা গন্ধগোকুলও উদ্ধার করে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কাশীপুর থানার পোলেরহাট গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা কেউ স্থানীয় বাসিন্দা নন। অন্য রাজ্য থেকে এসেছেন, মূলত যাযাবর। পুলিশ সূত্রে খবর, শীত পড়লেই তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে পশু শিকার করেন।
পোলেরহাট গ্রামের বাসিন্দা সুদীপ ঘোষ পেশায় সীমা সুরক্ষা বলের জওয়ান। এর আগে সুদীপ ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোতে চাকরি করতেন। বন্যপ্রাণের প্রতি টান তাঁর। সম্প্রতি ছুটিতে বাড়ি ফেরেন তিনি। জানতে পারেন, বাড়ির অদূরে নওয়াব গ্রামে কয়েকজন যাযাবর, সাপুড়িয়া, বেদে তাঁবু খাটিয়ে থাকছেন। অভিযোগ, বন্যপ্রাণও মারছেন তাঁরা। রবিবার সকালে সুদীপ নিজে তাঁদের তাঁবুতে চলে যান। অভিযোগ, তিনি গিয়ে দেখেন, তিনটি তাঁবুতে পুরুষ, মহিলা, শিশু-সহ ২২-২৩ জন সেখানে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপ দেখেন ওই যাযাবরদের তাঁবুর একপাশে জঞ্জাল পড়ে রয়েছে।
সেই জঞ্জালের মধ্যেই পড়ে রয়েছে শিয়ালের ছাল, ভামের দেহাংশ। এমনকী বক-সহ বেশ কিছু পাখির পালকও দেখা যায় সেখানে বলে অভিযোগ। এরপর তিনি প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, তাঁবুর ভিতরই একটা গন্ধগোকুলের ছাল ছাড়িয়ে রান্নার আয়োজন চলছিল। এদিকে বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী গন্ধগোকুল একটি লুপ্তপ্রায় প্রাণি। তাকে ধরা, মারা দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রতিবাদ জানিয়ে লাভ না হওয়ায় বন দফতর ও কাশীপুর থানায় ফোন করে তিনি বিষয়টি জানান। কাশীপুর থানার পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে পুরুষ, মহিলা মিলিয়ে সাতজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল বলেন, “এই ধরনের প্রাণি আমাদের শিডিউল-১ তালিকাভূক্ত। এদের মারা বা ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনও অভিযোগ এলেই আমরা আইনত ব্যবস্থা নিই। এতে জেল ও জরিমানা দুই-ই হতে পারে।” একইসঙ্গে তিনি জানান, আইনের ঊর্ধ্বে কেউই নন। আইন সকল শ্রেণির মানুষের জন্যই সমান।