Bhangar TMC: হাতে হাত রেখে শান্তি মিছিলে আরাবুল-শওকত-কাইজাররা, পঞ্চায়েতে দেখিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ
South 24 Parganas: বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পথে নামেন শাসকদলের কর্মী, সমর্থকরা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে ভাঙড়ের সব শিবিরের নেতাদের উপস্থিতি যেমন এদিন চোখে পড়ে, ছিলেন তাঁদের অনুগামীরাও।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে ভাঙড়ে (Bhangar) তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মূল মাথা ব্যথা ছিল, সে ছবিতে ইদানিং বেশ বদল এসেছে। অন্তত বাইরে থেকে দেখে তেমনটাই বলতে হচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলকে। ভবানীপুরে বৈঠক করে শওকত মোল্লাকে ভাঙড়ের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এর পর থেকেই আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদদের সঙ্গে নিয়ে লাগাতার মিটিং, মিছিল করছেন শওকত। আরাবুলকেও বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমাদের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লার নেতৃত্বে আমরা লড়াই করছি ভাঙড়ে।” রবিবার সকলে মিলে ভাঙড়ে এক বিরাট মিছিল করেন। সেখানে হাতে হাত রেখে পথ এগোতে দেখা যায় আরাবুল-শওকত-কাইজারদের।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা এখনও না বাজলেও অভিযোগ, আইএসএফ ও শাসকদলের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া, অশান্তি, মারামারি বাড়ছে ভাঙড়ে। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে উত্তপ্ত হচ্ছে ভাঙড়ের পরিবেশ। তাই শান্তির বার্তা দিতে এদিন তৃণমূল মিছিল করে ভাঙড়ে। চারমাস পর এদিন হাতিশালাতে পুলিশের অনুমতি নিয়ে বড় সভা ও মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েক হাজার মানুষ হাতিশালা থেকে ভোজেরহাট পর্যন্ত পদযাত্রায় সামিল হন।
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পথে নামেন শাসকদলের কর্মী, সমর্থকরা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে ভাঙড়ের সব শিবিরের নেতাদের উপস্থিতি যেমন এদিন চোখে পড়ে, ছিলেন তাঁদের অনুগামীরাও। এদিন জাগুলগাছিতে আইএসএফের সভা থাকলেও সেই সভা হয়নি শেষ পর্যন্ত। অন্যদিকে তৃণমূলের মিছিলে সামিল হন কয়েক হাজার মানুষ। আইএসএফের সভা না হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন শওকত মোল্লা। শওকত বলেন, “ওদের সঙ্গে কোনও লোক নেই। তাই সভা করব বলেও করতে পারে না। ভাঙড়ের মানুষ কাদের সঙ্গে আছে তা আজকের পদযাত্রা থেকেই পরিষ্কার। এত সংখ্যক মানুষ বৃষ্টিতে ভিজে শান্তির জন্য হাঁটবেন এটা ভাবিনি।”
অন্যদিকে আরাবুল ইসলাম বলেন, “ভাঙড়ে আমরা যেভাবে লড়াই করছি, অবজারভার হওয়ার পর শওকত মোল্লার নেতৃত্বে প্রতি নিয়ত জনসংযোগ করছি। একটার পর একটা মিছিল, মিটিং করছি। ভাঙড় বিধানসভা ধরলে ৩০০-৩৫০ বুথ। সকলে এসেছেন। শওকত মোল্লা আমাদের মাথার উপর আছেন। আমরা আমরা “