চোপড়া: প্রধান শিক্ষকের বদলি ঘিরে জল্পনা তৈরি হতেই বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা গিয়েছিল পড়ুয়া থেকে অভিভাবকদের। স্যার থাকবেন স্কুলেই, অন্য কোথাও বদলি করা যাবে না, এই দাবিকে সামনে রেখেই একদিন আগেই বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার রঘুনাথপুর এফ পি বিদ্যালয়ে। এবার কার্যত একই ছবি উত্তরবঙ্গে। তবে ঘটনার গতিপ্রকৃতি একটু আলাদা। চোপড়ায় টাটু সিং উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরাজির স্যারকে স্কুলে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ক্লাস বয়কট করলেন পড়ুয়ারা। কালো ব্য়াচ পরে প্রতিবাদে সামিল স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকেরাও। সামিল পড়ুয়ারাও। গলা মেলালেন অভিভাবকরাও।
যদিও আন্দোলনের পরে নিজের অবস্থানে অনড় স্কুলের প্রধান শিক্ষক। স্কুলে ঢুকতেই দেননি স্কুলের ইংরেজি শিক্ষককে। তবে আন্দোলনে সহকর্মী থেকে পড়ুয়াদের পাশে পেয়ে খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়তে দেখা গেল ওই ইংরাজির শিক্ষককে। বলছেন, সকলের সমর্থন পেয়ে ভাল লাগছে। ভাবতে পারিনি সবাই এভাবে আমার পাশে দাঁড়াবেন। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি গোটা ঘটনার কথা ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাঁরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক বলছেন, “ওঁর এখন অধিকার নেই স্কুলে সই করার। এ বিষয়ে শীঘ্রই আমার কাছে মেল চলে আসবে। আমাদের মধ্যশিক্ষা দফতরের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে যদি কোনও শিক্ষক ৪৮ ঘণ্টা পুলিশের হেফাজতে থাকে তাহলে তাঁর সাসপেনশন হবে। তাই বলছি আমরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নই। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে যে নির্দেশ আসবে সেই মতো কাজ হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে চলে জোরদার আন্দোলন। এলাকায় বেশকিছু সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে। জেল হয় টাটু সিং উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরাজির শিক্ষকের। পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হয়ে কাজ যোগ দিতে গেলে তাঁকে স্কুল থেকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বাধা দিচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।