Recruitment Scam Verdict: ‘এরা কেউ অযোগ্য নয়, জানি না কীভাবে পঠনপাঠন চলবে…’, প্রায় শিক্ষক-শূন্য স্কুল নিয়ে মাথায় হাত প্রধান শিক্ষিকার

Recruitment Scam Verdict: শিক্ষক বাতিলের ঘটনায় চিন্তায় আসানসোলের ঢাকেশ্বরী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকও। তিনি জানাচ্ছেন, সেই স্কুলে চাকরি বাতিলের 'খাঁড়া' পড়েছে ৩ শিক্ষক ও ২ শিক্ষাকর্মীর উপরে।

Recruitment Scam Verdict: এরা কেউ অযোগ্য নয়, জানি না কীভাবে পঠনপাঠন চলবে..., প্রায় শিক্ষক-শূন্য স্কুল নিয়ে মাথায় হাত প্রধান শিক্ষিকার
Image Credit source: Getty Image

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Apr 04, 2025 | 9:07 AM

আসানসোল: সুপ্রিম রায়ে কার্যত ‘খাঁড়া’ নেমেছে রাজ্যের একাংশের সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাথার উপর। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে শীর্ষ আদালত। তাতেই চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। কেউ কেউ বলছেন, চালে কাঁকড় বাছতে গিয়ে গোটা বস্তাটাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষকের চাকরি বাতিলের কারণে আসন্ন দিনে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও মনে করছে শিক্ষকমহল।

ইতিমধ্যে এই নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন আসানসোলের রানীগঞ্জ বাসন্তীদেবী গোয়েঙ্কা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়। কী বলছেন তিনি? চাকরি বাতিলের জেরে কীভাবে স্কুল চালাবেন, সেই নিয়ে কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না প্রধান শিক্ষিকা। এই সরকারি বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষকের সংখ্যা ২১। সুপ্রিম রায়ে চাকরি থেকে বাদ পড়েছে ১২ জন। এদের মধ্য়ে কেউ পড়াতেন হিন্দি, কেউ আবার ইংরেজি, কেউ কেউ পড়াতেন ইতিহাস, বিজ্ঞানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু তারা যে কেউ আর স্কুলেই আসবেন না। তাতেই ঘুম উড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের।

প্রধান শিক্ষিকা জানাচ্ছেন, ‘আমাদের ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে। এরা কেউ অযোগ্য নয়। জানি না কীভাবে স্কুলের পঠনপাঠন চলবে। এই ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত।’ এই মর্মে স্কুলের পরিচালন সমিতির একটি বৈঠক ডাকার কথাও জানান তিনি।

শিক্ষক বাতিলের ঘটনায় চিন্তায় আসানসোলের ঢাকেশ্বরী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকও। তিনি জানাচ্ছেন, সেই স্কুলে চাকরি বাতিলের ‘খাঁড়া’ পড়েছে ৩ শিক্ষক ও ২ শিক্ষাকর্মীর উপরে। বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক রবিন গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, ‘সামনের সপ্তাহে স্কুলে পরীক্ষা। এই মুহূর্তে এত জন শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীদের চলে যাওয়ার নির্দেশ। এটা যেমন অমানবিক, তেমনই চিন্তাদায়কও। স্কুল খোলারও লোকজন নেই। কীভাবে চলবে কিছুই জানি না।’