মিষ্টিমুখ করিয়ে বিজেপি কর্মীদের দোকান খুলে দিল তৃণমূল
বিজেপি (BJP) সমর্থকদের অভিযোগ, কয়েকজন তৃণমূল নেতার হুমকিতে তাঁর একমাত্র রোজগারের উৎসে কোপ পড়েছে। প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল করলে কি এই অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে?
শিলিগুড়ি: ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সন্ত্রাস। বিজেপি (BJP)-র অভিযোগ, তাদের কর্মীদের ওপর তৃণমূল (TMC) পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালাচ্ছে। এমনকি তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের রুজি-রোজগারেও কোপ পড়ছে। জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কর্মী সমর্থকদের দোকান। এই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক সৌজন্যতার ছবি দেখা গেল রাজগঞ্জে। মিষ্টিমুখ করিয়ে বিজেপি সমর্থকের দোকান খুলে দিয়ে তাঁর সুবিধা-অসুবিধায় পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
একুশের ভোটের ফল বের হতেই রাজগঞ্জ ব্লকের সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েতের মঘাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রদেশ পাল নামে এক বিজেপি সমর্থককে হুমকি দেওয়া বলে অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, কয়েকজন তৃণমূল নেতার হুমকিতে তাঁর একমাত্র রোজগারের উৎসে কোপ পড়েছে। প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল করলে কি এই অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে?
তাঁর এই অভিযোগের কথা কানে পৌঁছয় রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের কাছে। কাজের সূত্রে এখন কলকাতায় থাকলেও তৃণমূল বিধায়ক কর্মীদের কড়া নির্দেশ দেন, তাঁরা নিজেরা গিয়ে যেন ওই বিজেপি কর্মীর দোকান খুলে দেন। খগেশ্বরবাবুর নির্দেশ মাফিক এদিন সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেরা গিয়ে বিজেপি কর্মীর দোকান খুলে দেন। সেই সঙ্গে তাঁকে মিষ্টিমুখ করান।
এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে রাজগঞ্জের তৃণমুল বিধায়ক জানান, ভোটের ফল বের হওয়ার পর রাজগঞ্জের কয়েকটি এলাকা থেকে গণ্ডগোলের খবর আসছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে এই গণ্ডগোল নিয়ন্ত্রণে কড়া হয়েছেন তিনি। স্থানীয় নেতাদের নির্দেশ দেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের এই ধরনের অভিযোগ একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।
বিধায়কের নির্দেশ পেয়ে নড়েচড়ে বসেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এদিন তাঁরা বিজেপি সমর্থককে মিষ্টিমুখ করিয়ে দোকান খুলে দেন বলে জানান বিধায়ক।
আরও পড়ুন: ভয় দেখানোর জন্যই বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে : দিলীপ ঘোষ
একই ছবি দেখা গিয়েছে গঙ্গারামপুরেও। ভোট পরবর্তী হিংসায় বাড়ি ছাড়া বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ফেরান তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌতম দাস। এদিন একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঘর ছাড়া বিরোধী নেতা-কর্মীদের বাড়ি ফেরান ও তাঁদের মিষ্টি মুখ করান।