জলপাইগুড়ি: প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা নিয়ে জেলা সভাপতির নিদানে অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। এই যোজনাকে সামনে রেখে বিজেপির অন্দরের কোন্দলও আরও একবার সামনে উঠে এল। জলপাইগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর নিদান, বিজেপির জন্য যাঁরা লড়াই করছেন, তাঁদের এই সুবিধা দিতে হবে। নাম না করে বিক্ষুব্ধদের এই যোজনা থেকে যোজন দূরে রাখার বার্তাও দেন জেলা সভাপতি। তাতেই বেজায় চটেছেন জেলা বিজেপির একাংশ। তাদের বক্তব্য, দলের ভিতরে ঝামেলা থাকলে সকলকে নিয়ে তা মিটিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব সভাপতির। অথচ তা না করে তিনি আরও উস্কানি দিচ্ছেন।
সোমবার বিকালে জলপাইগুড়ি রবীন্দ্র ভবন মঞ্চে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার বিজয়া সম্মিলনী ছিল। জেলার সমস্ত ব্লক থেকে বিজেপি নেতারা এসেছিলেন। সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে বাপি গোস্বামী নির্দেশ দেন, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনার আওতায় বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের সুযোগ দিতে হবে।
বাপি গোস্বামী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বকর্মা যোজনায় আমাদের সকলকে কিন্তু মাঠে নামতে হবে। আমাদের বিজেপি পরিবারের যাঁরা বঞ্চিত তাঁদের আমরা সুযোগ করে দিতে পারি। ৩৪ বছর বাম জমানায়, ১৩ বছর দিদির জমানায় যে পরিবারগুলো কোনও সরকারি সাহায্য পায়নি, তাদের সুযোগ পাইয়ে দিন। বিজেপি করতে করতে তাঁর জীবনটা শেষ, তাঁকে সুযোগ দিন। তবে একটা শর্ত আছে, যাঁরা বিজেপির জন্য লড়াই করে তাঁকে দিন। কেউ এসে বলল ৮০ বছরের বিজেপি। অথচ দলের কাজ করে না, দলের ক্ষতি করে তাঁর পরিবারের একটা লোককেও দেবেন না। আমি জেলা সভাপতি এ কথা বলে দিলাম।”
জেলা সভাপতিকে এ নিয়ে পালটা তোপ দাগেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের মুখ হিসাবে পরিচিত অলোক চক্রবর্তী। জেলা সভাপতির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যে সমস্ত প্রকল্প ঘোষণা করেছেন, সবটাই সাধারণ মানুষের স্বার্থে করেছেন। মানুষ যাতে উপকৃত হন তার জন্য সবটা করেছেন। অথচ উনি (বাপি গোস্বামী) যেভাবে মঞ্চে কথা বলছেন, তাতে তো ওনার অজ্ঞতাই সামনে আসছে। অদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। আমি সমস্ত বিজেপি কর্মীকে বলব, প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জেনে নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলগুলিতে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।”
প্রসঙ্গত, এই অলোক চক্রবর্তীকে বিজেপি বহিষ্কার করেছে বলেও শোনা যায়। যদিও অলোক নিজেকে একনিষ্ঠ বিজেপি কর্মী হিসাবেই মানেন। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করতে যাওয়ার সময় বিজেপি প্রার্থীকে ফুলের স্তবক দিতে গিয়ে হামলারও শিকার হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ উঠেছিল, জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী ও পলেন ঘোষ নামে আরেক নেতা তাঁকে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দেন। যা নিয়ে সে সময় জোর বিতর্কও হয়েছিল।
জলপাইগুড়ি: প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা নিয়ে জেলা সভাপতির নিদানে অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। এই যোজনাকে সামনে রেখে বিজেপির অন্দরের কোন্দলও আরও একবার সামনে উঠে এল। জলপাইগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর নিদান, বিজেপির জন্য যাঁরা লড়াই করছেন, তাঁদের এই সুবিধা দিতে হবে। নাম না করে বিক্ষুব্ধদের এই যোজনা থেকে যোজন দূরে রাখার বার্তাও দেন জেলা সভাপতি। তাতেই বেজায় চটেছেন জেলা বিজেপির একাংশ। তাদের বক্তব্য, দলের ভিতরে ঝামেলা থাকলে সকলকে নিয়ে তা মিটিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব সভাপতির। অথচ তা না করে তিনি আরও উস্কানি দিচ্ছেন।
সোমবার বিকালে জলপাইগুড়ি রবীন্দ্র ভবন মঞ্চে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার বিজয়া সম্মিলনী ছিল। জেলার সমস্ত ব্লক থেকে বিজেপি নেতারা এসেছিলেন। সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে বাপি গোস্বামী নির্দেশ দেন, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনার আওতায় বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের সুযোগ দিতে হবে।
বাপি গোস্বামী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বকর্মা যোজনায় আমাদের সকলকে কিন্তু মাঠে নামতে হবে। আমাদের বিজেপি পরিবারের যাঁরা বঞ্চিত তাঁদের আমরা সুযোগ করে দিতে পারি। ৩৪ বছর বাম জমানায়, ১৩ বছর দিদির জমানায় যে পরিবারগুলো কোনও সরকারি সাহায্য পায়নি, তাদের সুযোগ পাইয়ে দিন। বিজেপি করতে করতে তাঁর জীবনটা শেষ, তাঁকে সুযোগ দিন। তবে একটা শর্ত আছে, যাঁরা বিজেপির জন্য লড়াই করে তাঁকে দিন। কেউ এসে বলল ৮০ বছরের বিজেপি। অথচ দলের কাজ করে না, দলের ক্ষতি করে তাঁর পরিবারের একটা লোককেও দেবেন না। আমি জেলা সভাপতি এ কথা বলে দিলাম।”
জেলা সভাপতিকে এ নিয়ে পালটা তোপ দাগেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের মুখ হিসাবে পরিচিত অলোক চক্রবর্তী। জেলা সভাপতির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যে সমস্ত প্রকল্প ঘোষণা করেছেন, সবটাই সাধারণ মানুষের স্বার্থে করেছেন। মানুষ যাতে উপকৃত হন তার জন্য সবটা করেছেন। অথচ উনি (বাপি গোস্বামী) যেভাবে মঞ্চে কথা বলছেন, তাতে তো ওনার অজ্ঞতাই সামনে আসছে। অদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। আমি সমস্ত বিজেপি কর্মীকে বলব, প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জেনে নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলগুলিতে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।”
প্রসঙ্গত, এই অলোক চক্রবর্তীকে বিজেপি বহিষ্কার করেছে বলেও শোনা যায়। যদিও অলোক নিজেকে একনিষ্ঠ বিজেপি কর্মী হিসাবেই মানেন। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করতে যাওয়ার সময় বিজেপি প্রার্থীকে ফুলের স্তবক দিতে গিয়ে হামলারও শিকার হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ উঠেছিল, জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী ও পলেন ঘোষ নামে আরেক নেতা তাঁকে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দেন। যা নিয়ে সে সময় জোর বিতর্কও হয়েছিল।