Wedding in Jail: ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ছুটেছিলেন থানায়, অভিযুক্তকে বিয়ে করতে জেলে হাজির পাত্রী

Rupak Ghosh | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 26, 2023 | 10:32 PM

Wedding in Jail: চলতি মাসের ৮ তারিখ ধৃতদের রায়গঞ্জ আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ধৃতের বাবাকে জেল হেফাজত এবং অভিযুক্ত যুবককে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Wedding in Jail: ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ছুটেছিলেন থানায়, অভিযুক্তকে বিয়ে করতে জেলে হাজির পাত্রী
প্রতীকী ছবি

Follow Us

রায়গঞ্জ: বধূর সাজে জেলে হাজির মহিলা। পরনে শাড়ি, গয়না। এ যেন এক নজিরবিহীন দৃশ্য! বিয়ে নয়, তবে বিয়ের প্রক্রিয়ায় একধাপ এগোল জেলবন্দি অভিযুক্ত ও অভিযোগকারিণী। রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে এমনই ঘটনা চোখে পড়ল শুক্রবার। ওই জেলেই রয়েছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি। রায়গঞ্জ জেলা আদালতের নির্দেশে তাঁরই বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইন মোতাবেক বিয়ের ব্যবস্থার পদক্ষেপ করা হয়েছে সংশোধনাগেরই। বিবাহ নিবন্ধীকরণের প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে শুক্রবার। ম্যারেজ রেজিস্টার, কনে পক্ষ ও পর পক্ষ, সবাই এদিন উপস্থিত ছিলেন জেলে।

ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। ফেসবুক ফ্রেন্ডের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ইটাহার থানা এলাকার ওই বাসিন্দা। অভিযোগ, লকডাউনের সময়ে উত্তর প্রদেশের বেনারসের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে সখ্যতা গড়ে ওঠে ওই তরুণীর। তারপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক নিবিড় হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দু’বার তরুণীকে বেনারসে ডাকা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। তারপরও বিয়ে না করায় থানার দ্বারস্থ হন ওই তরুণী।

ঘটনার তদন্তে নেমে চলতি মাসের ৭ তারিখ উত্তর প্রদেশের বেনারস থেকে অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর বাবা সঞ্জয় মাউরিয়াকে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪/ ৩৭৬/ ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। চলতি মাসের ৮ তারিখ ধৃতদের রায়গঞ্জ আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ধৃতের বাবাকে জেল হেফাজত এবং অভিযুক্ত যুবককে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

এরপর চলতি মাসের ১৬ তারিখ রায়গঞ্জ আদালতে অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে জামিনের আবদন করেন অভিযুক্ত। তরুণীকে ডাকা হলে, তিনিও রাজি হয়ে যান। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দেন বিচারক হেফাজত করিম চৌধুরী।

শুক্রবার দুপুরে রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে অভিযুক্তের সঙ্গে তরুণীর আইনি বিয়ের পদক্ষেপ করল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। এদিন দুপুরে অভিযোগকারী তরুণী সেজেগুজে সংশোধনাগারে যান। পাত্র ও পাত্রীকে জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাজেশ কুমার মণ্ডল এবং জেলা লিগাল সেলের সেক্রেটারি ইন্দ্রাণী গুপ্ত শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

Next Article