উত্তর দিনাজপুর: অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বিজেপির লিঙ্ক রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। উত্তর দিনাজপুরের একটি অনুষ্ঠানে গোলাম রব্বানি বলেন, ” অধীরের সঙ্গে বিজেপির নিশ্চিত লিঙ্ক রয়েছে। যদি বিজেপির সঙ্গে ফিটিং না থাকে, তাহলে এসব কথা অধীর বলতে পারতেন না।
সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে আমাদের ওপর ভরসা রেখেছে। অধীর রাজ্যের সভাপতি। ওঁর দলের নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখা উচিত। আর আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ওপর ভরসা রাখা উচিৎ।”
চব্বিশের ‘মহারণে’র প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষই। ইন্ডিয়া জোটও তৎপর। কিন্তু আসন বোঝাপড়া নিয়ে ইন্ডিয়া জোট চরম বিপাকে। সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী দাবি করেছেন, কংগ্রেসকে দু’টি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে তৃণমূল। আর এদিকে এই দুটো আসন ‘দয়ার দান’ বলে কটাক্ষ করেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি তা নিতে অস্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবারই অধীর চৌধুরী বলেছেন, “তৃণমূলকে বিঁধে বললেন, “প্রথম দিন থেকেই বলছে দু’টোর বেশি দেব না। কে দু’টোর দয়া নেবে? আমরা কেউ দয়া চেয়েছি? আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।” সূত্রের খবর, মোট ৯ রাজ্যে আসন সমঝোতা করে জোট বেঁধে লড়াই করতে প্রস্তুত কংগ্রেস। কিন্তু বাংলার সমীকরণটা একটু আলাদা। শাসকনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে স্পষ্ট জানিয়েছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে কোথাও আপত্তি নেই, সেখানেই ২টি আসন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। যেখানে হাইকম্যান্ড আসন সমঝোতা করে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে লড়তে চাইছে, সেখানে বাংলায় বসে শাসকনেত্রীকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করছেন অধীর চৌধুরী।
বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী বলেন, “বহরমপুরে তো হারাবে বলছে, মালদায় হারাবে বলছে। ওপেন চ্যালেঞ্জ করছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে, যে কাউকে এখানে পাঠিয়ে দিন। যদি হারাতে পারেন, রাজনীতি করা ছেড়ে দেব।” শাসকনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন. “আপনি নিজে আসুন, দেখি কত ক্ষমতা আছে আপনার।”
অধীর চৌধুরীর এহেন মন্তব্যের পরদিনই রাজ্যের মন্ত্রী তোপ দেগে বলেন, ‘আমরা যদি বিশ্বাস রাখি, তাতেই তো জোট হচ্ছে। অধীরের মুখ থেকে এই ধরনের কথা শোভা পায় না। অধীরের সঙ্গে বিজেপির লিঙ্ক রয়েছে।’ যদিও এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।