রায়গঞ্জ: প্রতিবেশী ১ লক্ষ টাকা ধার হিসাবে নিয়েছিলেন। বছর দু’য়েক আগে সেই টাকা নেন বলে অভিযোগ। অথচ এখনও সেই টাকা ফেরাননি। টাকা চাইতেই সপরিবারের হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, যাঁর কাছ থেকে টাকা ধার নেন ওই মহিলার মেয়ের আঙুল কামড়ে রক্তারক্তি করে দেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় রায়গঞ্জে। পাওনা টাকা চাওয়ায় যে এমন পরিস্থিতি হতে পারে তা বিশ্বাসই হচ্ছে না অভিযোগকারীর পরিবারের। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় আক্রান্ত তরুণীকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রায়গঞ্জ পুর এলাকায় থাকেন ওই তরুণী। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধারের টাকা চেয়ে প্রতিবেশী মহিলার মেয়েকে মেসেজ করেন তিনি। এরপর স্টেটাসে এ নিয়ে লেখেন। ওই তরুণীর কথায়, “পাশের বাড়ির একজন মহিলা ২ বছর আগে ১ লক্ষ টাকা নেন। এরপর বুধবার বলেন আর তিনি এই লোন চালাতে চান না। মহিলার মুখের ভাষাও খুব খারাপ। এরপরই ওনার মেয়েকে সবটা মেসেজে জানাই। আমি একটা স্টেটাসও দিই। তাতেই ওনার মেয়ের গায়ে লাগে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে জলপাইগুড়ি। উনি আবার ওনার বাড়িতে জানান।”
তরুণীর অভিযোগ, এরপরই পাশের বাড়ি থেকে গোটা পরিবার এসে চড়াও হয় তাঁদের উপর। তরুণীর দাবি, সেই সময় চা করছিলেন তিনি। ওরা এসেই চায়ের প্যান উল্টে দেয়। গরম জল পড়ে তরুণীর হাতে। এরপর মারধর, ঘর তছনছও চলে। এমনকী আঙুলে কামড়ে রক্ত বের করে দেওয়ারও অভিযোগ করেন তরুণী। এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী।