রায়গঞ্জ: গ্রেফতার হওয়ার পর রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে আদিবাসীদের জমি দখলের অভিযোগ তুললেন খোদ তৃণমূলেরই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগে তোলপাড় রায়গঞ্জে। চরমে রাজনৈতিক তরজা। প্রিজন ভ্যান থেকে নেমেই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন তিনি। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানা এলাকার ঘটনা।
জমি সংক্রান্ত বিবাদে বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি-দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যা সোনা টোপনো সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। গ্রেফতারির পর রায়গঞ্জ আদালত চত্বরেই বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা। তাঁর দাবি, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে আদিবাসীদের জমি বেদখল করছেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেওয়ার পরও বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী তাঁর ফ্যাক্টরির পাশে থাকা আদিবাসীদের জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ সোনা টোপনোর। তবে এই বিষয়ে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি অরিন্দম সরকারের বক্তব্য, সোনা টোপনোর বিরুদ্ধে জমি দখলের একগুচ্ছ অভিযোগ আছে বলেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। আর তৃণমূল করলেই যে আদিবাসী বা যে কারও জমি দখল করা যায় এমনটা নয়। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন। তবে এই ঘটনার সঙ্গে বিধায়কের কোনও যোগ আছে বলে মনে করেন না তিনি।
শাসক দল ও তৃণমূল বিধায়ককে তীব্র কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনি চক্রবর্তীর দাবি, এক সময় বিজেপিতে গিয়েছিলেন, এখন তৃণমূলে ফিরে এসেছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর দাবি, অনৈতিক কারবারের জন্যেই তৃণমূলে ফিরেছেন তিনি।