Cancer Patient: প্রতিদিন কেমো নিয়ে শরীর ঝিমঝিম করে, ‘স্বেচ্ছাশ্রম’ নয়, মমতার কাছে ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’র আবেদন করতে চান চাকরিহারা শিক্ষক

Cancer Patient: ২০২২ সালে তাঁর শরীরে ধরা পড়ে মারণ রোগ ব্লাড ক্যান্সার। এরপর থেকে প্রতিদিন ওরাল কেমোথেরাপির ওষুধে ভরসা করে চলছে তাঁর জীবনযুদ্ধ। এর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারানোয় তিনি এখন দিশেহারা।

Cancer Patient: প্রতিদিন কেমো নিয়ে শরীর ঝিমঝিম করে, স্বেচ্ছাশ্রম নয়, মমতার কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করতে চান চাকরিহারা শিক্ষক
ক্যানসার আক্রান্ত সুশান্ত দত্তImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 08, 2025 | 9:24 AM

রায়গঞ্জ: ‘২ মাস স্বেচ্ছাশ্রম দিন। পুষিয়ে দেব।’ কোর্টের নির্দেশে স্থায়ী সরকারি চলে যাওয়ার মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে মিলেছে এমনই আশ্বাস। শরীরে ক্যানসারের যন্ত্রণা নিয়ে কীভাবে দেবেন স্বেচ্ছাশ্রম? এর থেকে স্বেচ্ছামৃত্যুই ভাল বলে মনে করছেন উত্তর দিনাজপুরের চাকরিহারা শিক্ষক সুশান্ত দত্ত।

চোপড়ার মাঝিয়ালি হাইস্কুলের শিক্ষক সুশান্ত। ইসলামপুরের দুর্গানগরের বাসিন্দা সুশান্ত দত্ত বর্তমানে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে টেলিভিশনের পর্দায় শুনেছেন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য। সভা শেষে তাঁর মনে এখন শুধুই হতাশা।

২০২২ সালে তাঁর শরীরে ধরা পড়ে মারণ রোগ ব্লাড ক্যান্সার। এরপর থেকে প্রতিদিন ওরাল কেমোথেরাপির ওষুধে ভরসা করে চলছে তাঁর জীবনযুদ্ধ। এর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারানোয় তিনি এখন দিশেহারা। চিকিৎসার খরচ, পরিবারের ভরণপোষণ, সবই এখন অনিশ্চিত।

সুশান্ত বলেন, “ভলান্টিয়ারি সার্ভিসের কথা বলা হল, কিন্তু আমি কীভাবে সেটা দেব? প্রতিদিন কেমোথেরাপির ওষুধ খাই। শরীরে শক্তি নেই। শরীর ঝিমঝিম করে।” সভায় কোনও আশার কোনও আলো দেখতে না পেয়ে মনোবল ভেঙে পড়েছে তাঁর। তিনি বলছেন, “স্বেচ্ছ মৃত্যুর আবেদন ছাড়া আর কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছি না।” তাঁর এই কথায় ফুটে উঠেছে গভীর হতাশা।