চোপড়া: চোপড়াকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জেসিবি গারদে। কিন্তু তাতেও সন্ত্রাস অব্যাহত চোপড়ায়। অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিরোধীদের। জেসিবি-র ভাই গির আলম ও তাঁর শাকরেদরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ। কে বা কারা ভিডিয়ো করেছেন, এমন সন্দেহ করে অনেকের বাড়ি ঘরে ইতিমধ্যে ভাঙচুরও চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেকে এরপরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভয়ে কুঁকড়ে রয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। অপরাধীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন আক্রান্ত যুবকের মা। তিনি বলেন, “যে ভিডিয়োটা করেছে, তার আমি শাস্তি চাই। ভাইরাল করে আমার ধর্মটা নষ্ট করেছে।” তিনি এতটাই ভয়ে কুঁকড়ে রয়েছেন, তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে তাঁর ছেলেকে মেরেছেন, তাঁর শাস্তি চান না? তিনি বললেন, “না তাঁকে আমি চিনি না। না না আমি ওকে চিনিই না। যে ভাইরাল করেছে, তাকেই আমি চাই।”
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরেই উন্মোচিত হয়, চোপড়ার এই জেসিবি-র কুকীর্তির কথা। একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যে ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। তাতে দেখা যায়, জেসিবি এক ছড়া লাঠি নিয়ে এক যুগলকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেছেন। তালিবানি কায়দায় মারধরের সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা বাংলা। আঁচ পড়ে জাতীয় স্তরেও। রাতে গ্রেফতার হন জেসিবি।
মূল অভিযুক্ত জেসিবি গ্রেফতার হতেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক অভিযোগ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে এক সিপিএম নেতাকে গুলি করে খুনেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর কুকীর্তিতে সরব বিরোধীরা। সিপিএম নেতা আনোয়ারুল হক বলেন, “এর আগেও অনেক ঘটনা ঘটেছে। থানাতেও ওর বিরুদ্ধে একাধিক কেস রয়েছে। ওদের ভয়ে কেউ ওই রাস্তা দিয়ে যেতে পারত না। গোটা এলাকায় এমন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে, যে একজন মানুষও কথা বলতে না পারে। ওরা কয়েকজন সন্দেহ করেছে, যারা ভিডিয়ো ভাইরাল করেছে, তাদের বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। ওদের ভাইরা তো এখন মাঠেঘাটে রয়েছে। ওদের একটা গ্যাঙই আছে।”
চোপড়ার স্থানীয় বাসিন্দা এক বৃদ্ধ বলেন, “ওরা অত্যন্ত খারাপ। সারাক্ষণ মারামারি, খুনোখুনি করে। লোকের থেকে টাকা ছিনিয়ে খায়। খুব খারাপ লোক ওরা। কেউ ভয়ে ওর বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না।”