রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুরে রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা পিএসসি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকল্যাণীর বাড়িতে আয়কর দফতর। সূত্রের খবর, বিধায়কের বাড়িতে সকাল থেকেই তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর দফতরের অফিসাররা। বিগত কয়েক ঘণ্টা ধরেই চলছে এই তল্লাশি। কৃষ্ণকল্যাণীর পরিবার সূত্রে খবর,আজ খুব ভোরেই বিধায়কের বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যায় আয়কর দফতর। কৃষ্ণকল্যাণী খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক হলেও তাঁকে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল।
সূত্রের খবর, এ দিন যে বিধায়কের বাড়িতে আয়কর অফিসাররা পৌঁছতে পারেন সেই খবর আগে থেকে ছিল না কৃষ্ণকল্যাণীর পরিবারের কাছে। তাঁর আপ্ত সহায়ক বলেন যে,আচমকাই নেতার বাড়িতে আসেন একদল অফিসার। প্রথমে তাঁরা বুঝতে পারেননি ইনকাম ট্যাক্স অফিসাররা এসেছেন নাকি অন্য কোনও গোয়েন্দা সংস্থা। পরবর্তীতে জানা যায়, ইনকাম ট্যাক্স অফিসাররা এসেছেন। প্রত্যেকের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন অফিসাররা। এরপর বিধায়কের বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালানো হয়।
কৃষ্ণকল্যাণীর এক আত্মীয় বলেন, “শুনলাম কাকার বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালাচ্ছে। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এর আগেও হুমকি দিয়েছে। বিধায়কের কারকাখানায়ও গিয়েছে। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলেছে।” এ দিকে, খবর পেয়ে বিধায়কের বাড়ির সামনে হাজির হয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। তৃণমূল এক কর্মী বলেন, “উনি জনপ্রিয় বিধায়ক। প্রচুর মানুষ সাহায্যের জন্য এখানে আসেন। ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করল। পরশু অভিষেকের সভার পর আর সহ্য করতে পারল না। এখন গোয়েন্দা লাগিয়ে দিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জের বিধায়ক হলেও কৃষ্ণকল্যাণীর বড় পরিচয় তিনি উত্তরবঙ্গের নামকরা ব্যবসায়ী। তাঁর একাধিক সংস্থা রয়েছে। তাঁর মধ্যে রয়েছে কল্যাণী সলভেক্স নামে কোম্পানি। সেই সংস্থার আর্থিক লেনদেন নিয়ে আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল ইডি। তাঁদের ধারনা ওই কোম্পানির মাধ্যমে বেশ কয়েক কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সেই সূ্ত্র ধরে এর আগে ২০১৮ সালে ২৫ জুলাই কলকাতা জোন় ওয়ান ইডি মামলা দায়ের করেছিল। সেই মোতাবেক গত বছর জুলাই মাসে কল্যাণী সলভেক্সকে নোটিশ পাঠায় ইডি। সেখানে জানতে চাওয়া হয় ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই কোম্পানি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কত টাকা ব্যায় করেছে। সেই হিসাব পাওয়ার পরও সন্দেহ দূর হয়নি গোয়েন্দাদের। এরপর আরও দু’দফা নথি চাওয়া হয়।