রায়গঞ্জ: পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই হোক বা আর পাঁচটা সাধারণ ইস্য়ু, বারবারই দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। প্রশ্ন তুলেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের ভূমিকা নিয়ে। কয়েকদিন আগে দলের মুখপাত্রের পদ থেকে কুণাল ঘোষকে সরানোর দাবিতেও সরব হয়েছিলেন তিনি। এদিকে এদিন আবার রায়গঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একমঞ্চে দেখা গেল বিদ্রোহী বিধায়ককে। তাঁকে সিনিয়র লিডার বলে উল্লেখও করলেন মমতা। তাতেই যেন মানভঞ্জন করিমের। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক শেষে আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, “শুধু বাংলার নয়, গোটা দেশের ১১ বারের এমএলএ আমি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ওইভাবেই রিগার্ড করেন।” তাঁর এ মন্তব্য দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মত, দলের সঙ্গে ক্রমেই যে শীতল সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল করিমের, তা খানিকটা হলে দূর হচ্ছে। অল্প হলেও বরফ যে গলেছে তা করিমের মন্তব্যে স্পষ্ট।
এদিন করিম আরও বলেন, “মমতা বলেছেন বরাবর আপনার খবর রেখেছি। উনি আমার নেত্রী। একটা ঘরের মধ্যে ছেলেরও এরকম ক্ষোভ অভিমান হয়। দিদি বলেছিল আমি খুব ব্যস্ত থাকি। ওই আগের মমতাকে ফিরে পেলাম এতে আমি খুব খুশি। মমতা নিজে আমাকে ফোন করেছিলেন রায়গঞ্জে এই মিটিংয়ে আসার জন্য।” যদিও এই আবহেও উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই জারি থাকলই। তাঁকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ করিম। কানাইয়ালালের প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেন, জেলা প্রেসিডেন্ট আমাকে যদি মেনে চলে তো ঠিক আছে। নাহলে সেটা কেমন ব্যাপার! আমি এমএলএ, ওকে তো মানতে হবে। উনি জেলা সভাপতি আছেন, যদি মতামতে মিল না খায় তো বিবাদ হতে পারে।
যদিও এই বিষয়ে খোঁচা দিয়ে কানাইয়ালালের পালটা দাবি, “আমরা একসঙ্গে আছি। মতানৈক্য থাকতে পারে। ভবিষ্যতে উনি বিদ্রোহী হবেন কি না সেটা আমি বলতে পারব না। সকালে বিদ্রোহী হন সন্ধ্যায় আবার মিলে যান এটা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি।”