Kaliaganj: বিয়েতে এসেই প্রাণ গেল তরতাজা যুবকের, কাঠগড়ায় ফের কালিয়াগঞ্জের পুলিশ

Prasenjit Chowdhury | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 27, 2023 | 12:16 PM

Kaliaganj: ছাত্রী মৃত্যুতে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জে পুলিশ বনাম গ্রামবাসীদের 'লড়াই'য়ের বলি হতে হয়েছে তাঁকে। এমনটাই অন্তত দাবি প্রতিবেশীদের। পুলিশের গুলিতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসী তথা পরিবারের।

Kaliaganj: বিয়েতে এসেই প্রাণ গেল তরতাজা যুবকের, কাঠগড়ায় ফের কালিয়াগঞ্জের পুলিশ
পুলিশের গুলিতে মৃত্যু

Follow Us

কালিয়াগঞ্জ: এখনও বাড়িতে হলদে-লাল রঙা প্যান্ডেল খাটানো। কাল অবধি যে বাড়িতে হুল্লোড় করেছিলেন গোটা গ্রামের বাসিন্দা, বিয়ে বাড়ির ভোজ খেয়েছেন, আড্ডা মেরেছেন, মধ্যরাতে সেই বাড়িতেই এখন হাহাকার। আত্মীয়ের বিয়ে এসেছিলেন। ছাত্রী মৃত্যুতে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জে পুলিশ বনাম গ্রামবাসীদের ‘লড়াই’য়ের বলি হতে হয়েছে তাঁকে। এমনটাই অন্তত দাবি প্রতিবেশীদের। পুলিশের গুলিতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসী তথা পরিবারের। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে আরও একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল কালিয়াগঞ্জ। বুধবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কালিয়াগঞ্জে থানা জ্বালানোর ঘটনায় যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আর তারপরই মধ্যরাতে ধরপাকড়। মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামে নিহত ওই যুবকের পরিবারের দাবি, আদৌ তিনি কালিয়াগঞ্জের বিতর্কিত ইস্যুতে কোনওভাবেই জড়িত নন। তিনি কালিয়াগঞ্জে তাঁর গ্রামের বাড়িতে থাকেনই না। পেশায় ঠিকাদার মৃত্যুঞ্জয় কর্মসূত্রে ১৫-২০ বছর ধরে শিলিগুড়িতেই থাকেন। সে কথা জানিয়েছেন তাঁর মাও। সোমবার তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে। যদিও কালিয়াগঞ্জ তার আগে থেকেই উত্তপ্ত।

মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ থানায় ‘আগুন লাগানো’, পুলিশকে ‘মারধরের’ ঘটনায় আরও তপ্ত ছিল পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর নির্দেশের পর আরও তেড়েফুড়ে ওঠে প্রশাসন। শুরু হয় গ্রেফতারি। নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়তুতো ভাই হলেন বিষ্ণু। জানা গিয়েছে, পুলিশ তাঁকেই ধরতে এসেছিল মধ্যরাতে। পরিবারের এক সদস্যের কথায়, ” ২টোর সময়ে তিন গাড়ি পুলিশ এসেছিল। দরজায় ভীষণ ধাক্কা। পুলিশ আসলে বিষ্ণুকে ধরতে এসেছিল। কিন্তু বিষ্ণুকে পায়নি। ওর বাবাকে নিয়ে যাচ্ছিল। ছেলেটা এসে বলল, আমার জ্যেঠুকে কী কারণে নিয়ে যাচ্ছ? তখনই এক জন স্যর বললেন, ওকে শ্যুট করে দাও। ডায়রেক্ট মেরে দিল দাদা। কিচ্ছু করতে পারলাম না আমরা। বুকে একদম গুলি। সব শেষ…. ও কোনও ঝামেলাতেই ছিল না।” রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো অভিযোগ।

একটা বুলটে বদলে গিয়েছে গোটা গ্রামের আবহ। ছাত্রীমৃত্যুতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এমনিতেই ক্ষিপ্ত ছিল কালিয়াগঞ্জের জনতা। এবার তা মাত্রা ছাড়ল।ক্ষোভ ফুঁসছে গোটা গ্রাম। কথার বলার মতো পরিস্থিতিতেই নেই মৃত্যুঞ্জয়ের মা। শুধু বললেন, “ছেলেটা তো এখানে থাকেই না। কিছুতেই ছিল না। বাড়ি ফিরে যেত আজই। ওরা এমনিকেই মেরে দিল…”

বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি যাওয়ার ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল মৃত্যুঞ্জয়ের। ব্যাগ গোছানো ছিল। শুধু ফেরা হল না তাঁর। বৃহস্পতিবার সকালেও মৃত্যুঞ্জয়ের সেই বাড়ির সামনে জ্বলজ্বল করছে পড়ে থাকা বুলেট! এইভাবে মধ্যরাতে বাড়িতে ঢুকে পুলিশ কি কিছু বিবেচনা না করেই গুলি চালাতে পারে? আবারও সরব বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা টুইট করেছেন।

Next Article