North Dinajpur: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী বিএলওর দায়িত্বে, প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক

North Dinajpur: এলাকার বিজেপির বিএলএ-টু! আশ্চর্যজনকভাবে তিনি অবশ্য ওই বিএলওকে দরাজ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন। তবে তৃণমূলের সন্ত্রাসের ভয়েই বিজেপির বিএলএ একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিএলওর বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন না বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। তবে এর পালটা বিজেপিকে একহাত নিয়ে সুর চড়িয়েছে শাসক শিবির।

North Dinajpur: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী বিএলওর দায়িত্বে, প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক
বিএলও-র স্বামী!Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 09, 2025 | 7:16 PM

উত্তর দিনাজপুর: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী বিএলওর দায়িত্বে। তাঁকেই আবার ‘ভাল লোক’, ‘সহযোগী লোক’ বলে সম্মোধন করছেন বিজেপির বিএলএ – টু! এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা রায়গঞ্জ ব্লকের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। যা ঘিরে তুমুল রাজনৈতিক তরজা। সূত্রের খবর, রায়গঞ্জ ব্লকের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা কল্পনা বর্মন, তাঁর স্বামী অমূল্য বর্মন ওই এলাকার বুথ লেবেল অফিসার (BLO)। স্ত্রী যখন পঞ্চায়েত সদস্যা, তখন তার স্বামী কেন বিএলও? এই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য অমূল্য বর্মনের দাবি, তিনি প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।

অন্যদিকে, এলাকার বিজেপির বিএলএ-টু! আশ্চর্যজনকভাবে তিনি অবশ্য ওই বিএলওকে দরাজ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন। তবে তৃণমূলের সন্ত্রাসের ভয়েই বিজেপির বিএলএ একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিএলওর বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন না বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। তবে এর পালটা বিজেপিকে একহাত নিয়ে সুর চড়িয়েছে শাসক শিবির।

যদিও তৃণমূল আর বিজেপির সবটাই লোক দেখানো বলে দাবি সিপিএমের। সিপিএম নেতা সঞ্জীব সাহা বলেন, “সব জায়গাতেই তৃণমূল আর বিজেপি মিলে মিশে একসঙ্গে কাজ করছে, সবটাই মানুষকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে, আর প্রশাসনও নীরব।” এবিষয়ে তারা কমিশনেও অভিযোগ জানাবেন বলে জানান।

বিএলও-দের বিরুদ্ধে উঠছে একাধিক অভিযোগ। কেউ চাঁটাই বিছিয়ে, কেউ বা চায়ের দোকানে, কিংবা কেউ তৃণমূল নেতার বাড়িতে বসেই নাকি এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের নজরে এই বিষয়টি এসেছে। কিন্তু এবার বিএলএ-বিরুদ্ধেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ। বিএলএ, মানে যাঁরা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, যাঁরা বিএলও-দের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে,তাঁরা নাকি মৃত ভোটারদের নামেও এনুমারেশন ফর্ম দিতে বাধ্য করেছেন। এরকম ৮ জনের নাম উঠে এসেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে।