উত্তর দিনাজপুর: চোপড়াকাণ্ডে চাপ বাড়ল তাজমুল ইসলাম ওরফে জেসিবির। এবার তাঁর বিরুদ্ধে যুক্ত হল অস্ত্র আইনের ধারা। কারণ, তাঁর কাছ থেকে দু’টি বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। চোপড়ায় ‘কুখ্যাত বাহুবলী’কে আরও ৫ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে ইসলামপুর আদালত। এমনও শোনা যাচ্ছে, জেসিবিকে প্রয়োজনে ভিন রাজ্যেও তদন্তের স্বার্থে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
চোপড়াকাণ্ডে আরও চাপ বাড়ল জেসিবির। সালিশির নামে নির্যাতনের ঘটনার পর জেসিবির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে চোপড়া থানার পুলিশ মামলা রুজু করেছে। সেই সঙ্গে তাজমুল ওরফে জেসিবিকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছেন তাঁরা।
ইসলামপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল বলেন, “পুরনো মামলার সঙ্গে অস্ত্র আইন যুক্ত হয়েছে। পুলিশি জেরায় তাঁর কাছ থেকে দু’টো আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়।” এই মামলাতেই তাঁকে বাইরের রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হতে পারে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছে সরকারি আইনজীবী।
আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়ালের কথায়, “আরও অস্ত্রের খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছে। তাঁকে বাইরের রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। অস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়েই বাইরের রাজ্যে নেওয়া হতে পারে। আরও কেউ যুক্ত আছে কি না দেখা হচ্ছে।”
চোপড়ার লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় জেসিবি ও তাঁর দলবলের দাপট দীর্ঘদিনের বলেই অভিযোগ। সম্প্রতি সালিশির নামে এই তরুণ ও এক তরুণীর উপর অকথ্য অত্যাচারের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই জেসিবির কীর্তিকলাপ সামনে আসে। নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল পৌঁছয় ওই গ্রামে। এরইমধ্যে একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করে জেসিবির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ওঠে, জেসিবির এক ঘনিষ্ঠ রাইফেল হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছেন। পুলিশ এখনও ওই যুবককে ধরতে পারেনি। তবে সূত্রের খবর, জেসিবিকে জেরা করে পুলিশ লক্ষ্মীপুরে তাঁর ডেরা থেকে দু’টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। তারই ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হয়।
বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, উত্তরবঙ্গ অবৈধ অস্ত্র জমা করার জায়গা হয়েছে। পুলিশ সব জানে। পাল্টা তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, জেসিবির কাছ থেকে যদি অস্ত্র পাওয়া যায়, তা হলে পুলিশ যা করার করবে।