Raiganj Medical College: ময়নাতদন্তের রিপোর্টই মিলছে না রায়গঞ্জের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে! নেপথ্যে ‘তুচ্ছ’ কারণ

Raiganj Medical College: যদিও অটোপসি বিভাগের প্রধান সঞ্চিতা দাস কুণ্ডু বলেন, "এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী হাতে লেখা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আর দেওয়া হয় না। প্রিন্টেড কপি দেওয়া হয়। প্রিন্টার খারাপ হয়ে যাওয়ায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিতে পারছি না।

Raiganj Medical College: ময়নাতদন্তের রিপোর্টই মিলছে না রায়গঞ্জের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে! নেপথ্যে তুচ্ছ কারণ
প্রিন্টার খারাপ, দেওয়া যাচ্ছে না ময়নাতদন্তের রিপোর্টImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 07, 2025 | 11:33 AM

উত্তর দিনাজপুর:  প্রিন্টার খারাপ থাকায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে মৃতদের পরিজনদের। প্রতিদিন এসে ঘুরে যেতে হচ্ছে তাঁদের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের অটোপসি বিভাগের কর্তৃপক্ষ।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালের মতো জরুরি প্রতিষ্ঠানে কেনও ব্যাক আপ সিস্টেম নেই? রোগীদের নয়, মৃতদের পরিবারকে আর কতদিন ভুক্তভোগী হতে হবে সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি।

রোগীর এক পরিজন বলেন, “প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে একটি প্রিন্টারের অভাবে কীভাবে থমকে যায়?” আরেক মৃতের পরিবারের সদস্য জানান, “ময়নাতদন্ত তো আর সেভাবে স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে করতে হয় না। যে মৃত্যু অস্বাভাবিক, যে মৃত্যুর পিছনে জটিলতা রয়েছে, সেক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অত্যন্ত প্রয়োজন। পুলিশের কাছে যেতে গেলেও এই নথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবার পুলিশও তদন্ত এগনোর ক্ষেত্রে এই রিপোর্টের ওপরেই নির্ভর করে। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অত্যন্ত জরুরি। কেবল একটা প্রিন্টার খারাপ বলে এত বড় সমস্যা হবে, ভাবা যায়!”

যদিও অটোপসি বিভাগের প্রধান সঞ্চিতা দাস কুণ্ডু বলেন, “এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী হাতে লেখা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আর দেওয়া হয় না। প্রিন্টেড কপি দেওয়া হয়। প্রিন্টার খারাপ হয়ে যাওয়ায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিতে পারছি না। আমরা কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। পুলিশও আমাদের কাছে বারবার রিক্যুইজেশন পাঠাচ্ছে।”