Shramshree Scheme 2025: ‘নাগালের’ বাইরে শ্রমশ্রী পোর্টাল! ৫ হাজারের আশায় বাড়ি ফিরে ‘অনিশ্চয়তায়’ পরিযায়ী শ্রমিকরা

Shramshree Scheme 2025: অবশ্য, তাঁর মনে 'পাঁচ হাজারি' প্রত্যাশা জড়ো হলেও উত্তরের আরেক পরিযায়ী শ্রমিক কিন্তু তুলে দিয়েছিলেন 'পেটের কথা'। মালদহের আমির শেখ বলেছিলেন, "৫ হাজার টাকায় চলবে না। চাকরি দরকার।"

Shramshree Scheme 2025: নাগালের বাইরে শ্রমশ্রী পোর্টাল! ৫ হাজারের আশায় বাড়ি ফিরে অনিশ্চয়তায় পরিযায়ী শ্রমিকরা
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Getty Image

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Sep 06, 2025 | 9:47 PM

রায়গঞ্জ: বাড়ি ফেরার খরচ থেকে রাজ্য়ে এসে যতদিন পর্যন্ত জুটবে না কাজ, ততদিন ‘শ্রমশ্রী’ বাবদ মিলবে পাঁচ হাজার টাকা। সপ্তাহ খানেক আগের কথা। ভিন রাজ্য়ে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে এই বার্তাই দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

মমতার বার্তার পর তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয় কাজ। সোমবার অর্থাৎ পয়লা সেপ্টেম্বর থেকেই চালু হয়ে যায় ‘শ্রমশ্রী’ পোর্টাল। কিন্তু পোর্টাল চালু হলেও, তা কি সাধারণের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে? এমনই প্রশ্ন তুলছেন রায়গঞ্জের পরিযায়ী শ্রমিকরা। কারণ, বিভ্রাটের কারণে পোর্টাল চলে গিয়েছে তাদের ‘নাগালের’ বাইরে। জমা করা যাচ্ছে না আবেদন, পোর্টাল পড়ে ‘অকেজো’ হয়ে। ফলত, বাড়ি ফিরেও চোখের সামনে সেই হতাশাই।

শনিবার রায়গঞ্জ ব্লকেরই এক পরিযায়ী শ্রমিক চৈতু মহাম্মদ বলেন, “দিন পনেরো বাড়ি চলে এসেছি। বলেছে, পাঁচ হাজার টাকা দেবে। কিন্তু অনলাইনে তো আবেদন করাই যাচ্ছে না। কয়েকদিন পর দুয়ারে সরকার রয়েছে। ওখানে গিয়ে আবেদন জানাব।” অবশ্য, তাঁর মনে ‘পাঁচ হাজারি’ প্রত্যাশা জড়ো হলেও উত্তরের আরেক পরিযায়ী শ্রমিক কিন্তু তুলে দিয়েছিলেন ‘পেটের কথা’। মালদহের আমির শেখ বলেছিলেন, “৫ হাজার টাকায় চলবে না। চাকরি দরকার।”

কিন্তু অনলাইনে আবেদন নিয়ে কেন এত বিভ্রাট? পোর্টালে আবেদন জমা করা না গেলে কোন আশা নিয়ে ভিন রাজ্য়ের কাজ ছেড়ে বাংলায় ফিরবে শ্রমিকরা? এদিন পোর্টাল বিভ্রাট প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুরের ডেপুটি লেবার কমিশনার রথীন সেন বলেন, “পোর্টাল এখনও নির্মীয়মান। ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে। যারা খোঁজ খবর করছেন, তাদের বলছি, পোর্টালে এখনও কাজ চলছে। তবে আপনারা চেষ্টা করে যান।”

এই পরিস্থিতিতে যেন নিজেদের কোর্টেই বল পেয়ে গিয়েছেন বিরোধীরা। উত্তর দিনাজপুরে বিজেপি জেলা সভাপতি নিমাই কবিরাজ বলেন, “তহবিল শূন্য, পয়সা নেই। তারপরেও শ্রমিকদের ডেকে এনে হয়রানির মুখে ফেলা হচ্ছে।” একই সুর সিপিএম-এরও। তাদের দাবি, “গোটাটাই গিমিক।” অবশ্য, পোর্টাল চালু না হলেও এক্ষেত্রে তৃণমূলের ভরসা ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’। পরিযায়ী শ্রমিকদের সেখানে এসেই আবেদন জমা দিতে বলেছেন স্থানীয় নেতারা।